বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
চলতি সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব থ্যাকারে পাথরিকে সাঁইবাবার জন্মস্থান হিসেবে মান্যতা দিয়ে সেখানকার উন্নয়নের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। সেখানে ধর্মীয় পর্যটন গড়ে তোলার কথাও জানিয়েছেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদেরও বিশ্বাস, শিরডি নয়, পাথরিতেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯ শতকের এই ধর্মগুরু। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় পাথরিবাসীরা খুশি হলেও উল্টো পরিস্থিতি তৈরি হয় শিরডিতে। ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা বন্ধের ডাক দেওয়ায়, আগামীকাল সেখানে হোটেল, ধর্মশালা, রেস্তরাঁগুলি বন্ধ থাকতে পারে। প্রভাব পড়তে পারে পরিবহণেও। গতকাল মন্দির বন্ধের কথা জানিয়েছিলেন সাঁইবাবা সংস্থান ট্রাস্টের সদস্য বি ওয়াকচৌরে। এদিন সন্ধ্যায় এই ইস্যুতে পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করতে গ্রামবাসীদের নিয়ে বৈঠক করার কথা রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। পাথরি ইস্যুতে উদ্ধবকে একহাত নিয়েছে বিজেপি। স্থানীয় বিজেপি সাংসদ সুজয় ভিখে-পাটিল জানিয়েছেন, ‘সাঁইবাবার জন্মস্থান নিয়ে কোনও বিতর্ক ছিল না। কী করে এটি ইস্যু হয়ে উঠতে পারে? সরকার বদলের পর কীভাবে পাথরিতে জন্মস্থান হওয়ার নতুন প্রমাণ উঠে এল? কোনও রাজনৈতিক নেতা সাঁইবাবার জন্মস্থান নির্ধারণ করে দিতে পারেন না। শিরডির বাসিন্দারা এই ইস্যুতে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন।’ মুখ্যমন্ত্রীকে অবিলম্বে এই মন্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
বিজেপিকে পাল্টা জবাব দিয়েছেন এনসিপি নেতা দুরানি আবদুল্লা খান। তাঁর দাবি, সাঁইবাবার জন্ম পাথরিতে হয়েছে, এব্যাপারে পর্যাপ্ত প্রমাণ রয়েছে। দুরানি আরও বলেন, ‘শিরডি সাঁইবাবার কর্মভূমি ছিল, আর পাথরি জন্মভূমি। দু’টি স্থানেরই নিজস্ব মাহাত্ম্য রয়েছে।’ কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চ্যবন জানিয়েছেন, শুধু জন্মস্থান নিয়ে বিবাদের জন্য পাথরির মানুষকে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত করা উচিত নয়। ইতিহাস বলছে, খুব ছোট বয়সেই শিরডিতে চলে আসেন সাঁইবাবা। আমৃত্যু সেখানেই ছিলেন তিনি। তাঁর জন্মস্থান সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায় না। দেশের প্রথম সারির চারটি মন্দিরের মধ্যে একটি শিরডি। পাথরিতে আলাদা বড় মন্দির তৈরি হলে তীর্থযাত্রীদের ভিড় ভাগাভাগির সম্ভাবনা রয়েছে যথেষ্টই।