বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
গত ৯ জানুয়ারির ঘটনা। অভিযুক্তদের মারে গুরুতর জখম হয়ে পড়েছিলেন নির্যাতিতার মা। বুটের ঘায়ে তাঁর মুখও থেতলে গিয়েছিল। টানা প্রায় আটদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। গতকাল তিনি মারা যেতেই পুরো ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি নির্যাতিতার কাকিমা। ঘটনাটির ভিডিও ফুটেজও ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তার পরেই ঘুম ভাঙে পুলিসের। রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি নিয়েও সরব হন নেটিজেনরা। ঘটনাটিকে ‘মর্মান্তিক ও ভয়ঙ্কর’ অ্যাখ্যা দিয়ে অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবি তুলেছেন তাঁরা। উন্নাওয়ের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের কানপুরের এমন ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে পড়েছে যোগীর পুলিস-প্রশাসন। পুলিসের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত গাফিলতিরও অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।
উত্তরপ্রদেশ পুলিসের এক বড়কর্তা বলেছেন, ‘ঘটনায় স্থানীয় থানার কোনও গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে জোর তল্লাশি চলছে। মৃত মহিলার দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
কানপুর পুলিসের ডিআইজি জানিয়েছেন, ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনাটি ঘটে ২০১৮ সালে। মৃত মহিলার মেয়েকে অপহরণ করে ধর্ষণের চেষ্টা করে প্রতিবেশী কয়েকজন যুবক। তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার পরিবার। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারও করে পুলিস। এখন তারা জামিনে মুক্ত। মামলা চলছে আদালাতে। ঘটনার মূল সাক্ষী ছিলেন নির্যাতিতার মা ও তাঁর কাকিমা। অভিযোগ, জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই মামলা তুলে নিতে নির্যাতিতার পরিবারকে শাসাচ্ছিল অভিযুক্তরা। কিন্তু মামলা তুলতে রাজি হননি তারা।
পুলিস সূত্রে খবর, গত ৯ জানুয়ারি অভিযুক্তরা নির্যাতিতার পরিবারে চড়াও হয়ে ফের মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয়। এই নিয়ে দু’পক্ষের গোলমাল শুরু হয়। আচমকাই নির্যাতিতার মা’কে মাটিতে ফেলে বেধড়ক পেটাতে থাকে অভিযুক্তরা। ভাইরাল হওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, অভিযুক্তদের একজন নির্যাতিত মায়ের মুখে একের পর এক লাথি মারছে। বুট দিয়ে তাঁর মুখ থেতলে দেওয়ার ছবিও ধরা পড়েছে। নির্যাতিতার কাকিমাকেও বেধড়ক পেটানো হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম অবস্থায় দু’জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আটদিন লড়াই চালানোর পর মারা যান নির্যাতিতার মা।