বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
প্রথমে যে চার রাজ্যে (মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড, হরিয়ানা ও জম্মু-কাশ্মীর) ভোট রয়েছে সেখানে প্রদেশ থেকে ব্লক, নতুন কমিটি তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। পরে পশ্চিমবঙ্গ সহ অন্য রাজ্যগুলিতেও হবে। যদিও লোকসভায় দলের হারের দায় নিয়ে আগেই ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। কিন্তু রাহুল গান্ধী ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করাতেই বিপত্তি বেড়েছে। কে ইস্তফাপত্র গ্রহণ করবেন, তা নিয়েই জটিলতা তৈরি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গর দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক তথা লোকসভায় দলের সচেতক গৌরব গগৈ সোমেনবাবুকে জানিয়েছেন, ‘ইস্তফাপত্র গ্রহণ করারই তো কেউ নেই। ফলে আপাতত আপনিই কাজ চালিয়ে যান।’
যদিও দলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘ইস্তফা দেওয়ায় কেউ অনড় থাকলে তিনি দিতেই পারেন। ঠিক যেভাবে মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, অসমের বিভিন্ন কমিটির নেতা, পর্যবেক্ষকরা দিয়েছেন। যে কংগ্রেস সভাপতির আমলে প্রদেশ কমিটি তৈরি হয়েছে, তাঁকেই ইস্তফা পাঠাতে হয়।’ আবার সংগঠনের একটি নিয়ম হল, কংগ্রেস সভাপতি ইস্তফা দিলে তাঁর তৈরি কমিটির কার্যকারিতাও প্রশ্নের মুখে পড়ে।
তাই রাহুল গান্ধী ইস্তফা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এআইসিসি সদস্যর ক্ষেত্রে কোনও আঁচ না পড়লেও, তাঁর তৈরি যাবতীয় কমিটি ভেঙে যাওয়াই দস্তুর। কিন্তু এক্ষেত্রে রাহুল ইস্তফা দিয়েছেন এবং সেটিতে তিনি অনড়। তবে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি যেহেতু এখনও তা অনুমোদন করেনি, তাই না চাইলেও নতুন সভাপতি নিয়োগ হওয়া পর্যন্ত রাহুলকেই চালিয়ে যেতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে জটিল অবস্থায় রয়েছে কংগ্রেস।