বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
জানা গিয়েছে, কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠনের www.epfigms.gov.in ওয়েবসাইট থেকেই একমাত্র এইসব নতুন সুবিধা পাবেন ইপিএফের গ্রাহকরা। কীভাবে কাজ করবে এই নয়া পরিষেবা? ইপিএফও সূত্রে খবর, ইপিএফ সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ দায়ে করার জন্য কোনও গ্রাহক নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে লগ ইন করলে তাঁর নথিভুক্ত মোবাইল নম্বরে একটি ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) আসবে। সেই ওটিপি দিয়েই বাকি যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করতে হবে ওই গ্রাহককে। অভিযোগ দায়ের হলেই নিজের নথিভুক্ত মোবাইল নম্বর এবং ইমেলে এই সংক্রান্ত একটি ‘ইউনিক রেজিস্ট্রেশন নম্বর’ পাবেন গ্রাহক। যা পরবর্তী ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট অভিযোগের ‘ফলো আপ’-এর ক্ষেত্রে কাজে লাগবে। এবং সেই অভিযোগের সুরাহা না হওয়ায় তিনি যদি ফের কেন্দ্রীয় সরকারকে ‘রিমাইন্ডার’ দিতে চান, তাহলেও ব্যবহার করতে হবে ওই ইউনিক রেজিস্ট্রেশন নম্বরকে। এমনটাই জানিয়েছে কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠন।
এই মুহূর্তে সারা দেশে যেসব সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম ২০ জন কর্মচারী রয়েছেন, সেই সংস্থাগুলি ইপিএফওর আওতায় থাকে। তবে এর আওতায় থাকা সংস্থাগুলির সব কর্মচারীই যে ইপিএফের মতো সামাজিক পরিষেবা পান, তা নয়। এতেও শর্ত রয়েছে। ওইসব সংস্থার যে কর্মচারীদের মাসিক বেতন সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা, একমাত্র তাঁরাই বাধ্যতামূলকভাবে ইপিএফের অধীনে থাকেন। প্রতি মাসে একজন গ্রাহক তাঁর মূল বেতন এবং মহার্ঘ ভাতার ১২ শতাংশ অর্থ ইপিএফ খাতে ‘কন্ট্রিবিউশন’ হিসেবে জমা দেন। ওই কর্মীর হয়ে তাঁর সংস্থা কর্তৃপক্ষ প্রদেয় অর্থ হিসেবে আরও ১২ শতাংশ অর্থ জমা দেয়। যার মধ্যে ৩.৬৭ শতাংশ যায় কর্মীর ইপিএফ খাতে, বাকি ৮.৩৩ শতাংশ যায় তাঁর ইপিএফ পেনশন খাতে (এমপ্লয়িজ পেনশন স্কিম বা ইপিএস)। সরকারি সূত্রের খবর, ইপিএফ সংক্রান্ত অভিযোগের অধিকাংশই এই কন্ট্রিবিউশনের সঙ্গে সম্পর্কিত।
অনেক সময়ই গ্রাহকরা অভিযোগ জানান, তাঁদের মাসিক বেতন থেকে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা কেটে নেওয়া হলেও তা ইপিএফ খাতে জমা পড়েনি। সরকারি হিসেব বলছে, গত দু’বছরে ইপিএফওর কাছে এরকম মোট ২ হাজার ৪৯৭টি অভিযোগ এসেছে। যার মধ্যে দেড় হাজারের বেশি অভিযোগের সুরাহাই হয়নি। যদিও এসব ক্ষেত্রে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ সমস্ত রিজিওনাল প্রভিডেন্ট ফান্ড কমিশনারদের (আরপিএফসি) কাছে ইতিমধ্যেই দিয়েছে কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠন। অভিযোগের সুরাহা না হলে গ্রাহকরা ‘রিমাইন্ডার’ দিলে তুলনায় দ্রুত এগুলির নিষ্পত্তি হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।