বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
পুলিসের খাতায় সমাজবাদী পার্টির এই এমপির নামে ৩০টির বেশি মামলা রয়েছে। অধিকাংশ মামলাই সরকারি ও কৃষকদের জমি দখল করার অভিযোগে। রামপুরের পুলিস সুপার অজয়পাল সিং বলেন, জমি মাফিয়া পোর্টালে আজম খানের নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সুপারিশ করা হবে। জমি দখলের মামলাগুলিতে তাঁর জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ সুপার আরও বলেন, আজম খান ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় যেসব অভিযোগ রয়েছে, জেলাশাসককে সঙ্গে নিয়ে তিনি ব্যক্তিগতভাবে সেইসব অভিযোগ খতিয়ে দেখবেন।
শুক্রবার রাজ্যের শুল্ক দপ্তরের দায়ের করা একটি এফআইআরের ভিত্তিতে আজম ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সঙ্গী তথা প্রাক্তন পুলিস অফিসার আলিহাসান খানের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের হয়। সেখানে অভিযোগ, ২৬ জন কৃষকের জমি দখল করেছেন আজম খান ও তাঁর সঙ্গী। মহম্মদ আলি জৌহর বিশ্ববিদ্যালয় নামে বহু কোটি টাকার একটি মেগা প্রজেক্ট চলছে আজম খানের। ওই জমি সেই প্রজেক্টের নির্মাণকাজের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। ওই কৃষকদের অভিযোগ, তাঁদের উপর অত্যাচার করে ভুয়ো কাগজপত্রে জোর করে সই করানো হয়েছে। এবার জমি খোয়ানো কৃষকরাও পৃথকভাবে এফআইআর দায়ের করতে চলেছেন বলে অভিযোগ। শুল্ক দপ্তরের এফআইআরে বলা হয়েছে, আজম খান গরিব কৃষকদের জমি দখলের জন্য তাঁর পদের (২০১২-১৭ রাজ্যের মন্ত্রী হিসেবে) অপব্যবহার করেছিলেন। পাশাপাশি ৫ হাজার হেক্টরের অন্য একটি জমিও বেআইনিভাবে দখল করেছিলেন। শুল্ক দপ্তরের এক অফিসার জানিয়েছেন, ওই জমিটি নদীর ধারে হওয়ায় তা অধিগ্রহণ করা বেআইনি। যদিও নথি জাল করে কয়েকশো কোটি টাকার ওই জমি বেআইনিভাবে অধিগ্রহণ করে জৌহর আলি বিশ্ববিদ্যালয়। নথি জাল করে বেআইনিভাবে নদীর চড়ার ওই জমির চরিত্র বদলে তা দখল করা হয়েছিল। এখন এই ঘটনার বিরুদ্ধে জোরালো তথ্যপ্রমাণ সামনে চলে এসেছে। পাশাপাশি অন্যান্য বহু জমির দখলদারি নিয়ে রামপুরের পুলিস সুপারের দপ্তরে আজম খান ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ জমা পড়েছে। যদিও এসব অভিযোগ মানতে নারাজ আজম খানের সমর্থকরা। তাঁদের পাল্টা বক্তব্য, রামপুর জেলায় আজম খানই হলেন একমাত্র বিরোধী কণ্ঠ। সংসদেও তিনি নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় কথা বলছেন। তাই তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে। আজম খানের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ যুক্তিসঙ্গত নয়। ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের জন্য তিনি কোনও জমি নেননি।