বিমা প্রভূতক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। গৃহ সংস্কার বা ক্রয়ের প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যেতে পারেন। শরীরের ... বিশদ
২০১৪’র ২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ময়মনসিংহের ত্রিশালায় পুলিসের গাড়িতে হামলা চালিয়ে সাজিদ ছিনিয়ে নিয়ে যায় সালাউদ্দিন সালেহান, বোমা মিজান ও রাকিব হাসানকে। এর মধ্যে পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষে রাকিবের মৃত্যু হয়। সালাউদ্দিন ভারত ও বাংলাদেশের খাতায় এখনও মোস্ট ওয়ান্টেড। ২০১৪’র অক্টোবর মাসে খাগড়াগড় কাণ্ডে সে সময়ে জেএমবির বড় মাথা সাজিদ ধরা পড়ে। গ্রেপ্তার করা হয় জেএমবির ‘ফিনান্স এক্সিকিউটিভ’ বাংলাদেশি নাগরিক আনোয়ার হোসেন ফারুক, কওসার সহ অনেকেই। সাজিদ সহ বাকিদের জেলের বাইরে আনার পরিকল্পনা চূড়ান্ত হওয়ার পর শাদের পিসতুতো ভাই মুর্শিদাবাদের নওদার সাজিবুল ইসলাম নিজে এবং পরে কয়েকজন শাগরেদকে পাঠিয়ে শহরের দুই প্রান্তে রেকি সেরেছে বলে তদন্তকারীরা জেনেছেন।
শাদের মোবাইল ঘেঁটে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ময়মনসিংহের কায়দাতেই চার জঙ্গিকে ছাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছিল এবিটি। ‘বস’ সালাউদ্দিনের এই নির্দেশ পৌঁছে যায় জসিমউদ্দিনের কাছে। এবিটি প্রধান তার বিশ্বস্ত অনুচর শাদকে সে দায়িত্ব দেয়। তদন্তে উঠে আসছে, শাদ সক্রিয় করে তোলে তার পিসতুতো ভাই সাজিবুলকে। আদালতে যাতায়াতের সময় প্রিজন ভ্যানে কতজন নিরাপত্তা রক্ষী থাকে, কোন ধরনের গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়, তার তথ্য জোগাড় চলছিল। এমনকী অসুস্থ হলে, কোন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সে খোঁজও নিচ্ছিল সাজিবুল। বেঙ্গল এসটিএফ ইতিমধ্যেই তাকে গ্রেপ্তার করেছে। তদন্তকারীরা বলছেন, এবিটি ঠিক করেছিল চূড়ান্ত রেকি সারবে শাদ। তারপরই প্রিজন ভ্যানে হামলা করে সতীর্থ জঙ্গিদের ‘ছিনতাই’ করার মতলবে ছিল এবিটি।