বিমা প্রভূতক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। গৃহ সংস্কার বা ক্রয়ের প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যেতে পারেন। শরীরের ... বিশদ
যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য বলেন, নির্দেশিত মেনুর সঙ্গে আমরা আরও কিছু পদ যোগ করছি। পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া নতুন ছাত্রদের জন্য থাকছে গোলাপ ফুল, কলম এবং চকোলেট। যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিত সেন মজুমদারও স্পেশাল মেনুর পাশাপাশি পড়ুয়াদের অভ্যর্থনা জানানোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকছে বলে জানান। বিকাশ ভবনের এক কর্তা জানান, সার্বিকভাবে কোনও নির্দেশ না-থাকলেও জেলাগুলি নিজেদের উদ্যোগে মিড ডে মিলে স্পেশাল মেনু দিচ্ছে। কিছু স্কুল নিজস্ব উদ্যোগেও সেই ব্যবস্থা করছে।
২ থেকে ৮ জানুয়ারি চলবে ‘স্টুডেন্টস উইক’। এর জন্য একেবারে প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা আগেই পাঠানো হয়েছে দপ্তরের তরফে। তাতে একদিকে যেমন পরিবেশ সংক্রান্ত কর্মসূচি থাকবে, তেমনই পড়ুয়াদের নিয়ে কল্যাণমূলক কর্মসূচিও নিতে বলা হয়েছে। তার মধ্যে থাকবে বৃক্ষরোপণ, এলাকা সাফাই, প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ প্রভৃতি। আরও একটি আকর্ষণীয় বিষয় হল অভিভাবক এবং ঠাকুরদা-ঠাকুরমাদের নিয়ে গল্প পড়ার পর্ব। এছাড়াও রিডিং পড়া, লেখা, গণিত এবং গল্প বলার প্রতিযোগিতাও থাকবে। উঁচু ক্লাসের পড়ুয়াদের জন্য পথ নিরাপত্তা, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প, তামাক এবং মাদক সেবন নিয়ে সচেতনতা শিবির, পোস্টার তৈরি, স্লোগান লেখা, কমিকস তৈরি প্রভৃতি কর্মশালা চলবে। স্কুলগুলি নিজেদের উদ্যোগে মেলার আয়োজনও করতে পারে। স্কুলগুলিকে পড়ুয়াদের নিয়ে খাদ্যমেলা, প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক এবং ক্রীড়া অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোগ নিতেও অনুরোধ করা হয়েছে।
শিক্ষকদের বড় অংশই এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছেন। তবে, বেশকিছু সংগঠনের দাবি, বহু স্কুলেই শিক্ষকের অভাব রয়েছে। এছাড়া এসবের জন্য যে অর্থ প্রয়োজন তা স্কুলগুলিকেই বহন করতে হবে। কম্পোজিট গ্রান্টের ২৫ শতাংশ অর্থ পেয়েছে হাইস্কুলগুলি। প্রাথমিক স্কুলগুলি তাও পায়নি। ফলে এগুলি কীভাবে আয়োজন করা হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে তারা।