বিমা প্রভূতক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। গৃহ সংস্কার বা ক্রয়ের প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যেতে পারেন। শরীরের ... বিশদ
কেন প্রয়োজন পড়ছে এই ইউনিফাইড প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের? কী ভাবে কাজ করবে এই অনলাইন সিস্টেম? প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, এই অনলাইন ব্যবস্থাটিতে কংক্রিট, স্টিল, বিয়ারিং, ইত্যাদি সামগ্রীর শিডিউল অব রেট বা রাজ্যের নির্ধারিত মূল্য আগে থেকেই দেওয়া থাকবে। ফলে একটি প্রকল্পের প্রয়োজনীয় সামগ্রী সহ অন্যান্য সমস্ত তথ্য তুলে দিলেই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে অনলাইনেই প্রকল্পের আনুমানিক খরচ বেরিয়ে আসবে। শুধু তাই নয়, এতদিন প্রকল্পের প্রশাসনিক ও আর্থিক অনুমোদন রাজ্যের আইএফএমএস পোর্টালের মাধ্যমে করা হতো। তাও এবার এই নতুন ব্যবস্থার মাধ্যমে হবে। সেই ক্ষেত্রে আইএফএমএস’র সঙ্গে এই নতুন অনলাইন ব্যবস্থার সংযুক্তিকরণের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। অনুমোদনের পর নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্পের শেষের লক্ষ্যে এই ব্যবস্থার মাধ্যমেই কাজের অগ্রগতিরও যাচাই করা হবে বলেও সূত্রের খবর। প্রত্যেক দপ্তরের নেওয়া পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজের অগ্রগতির হিসেব থাকবে একটি ড্যাশবোর্ডে।
সাম্প্রতিক একাধিক প্রশাসনিক বৈঠকে কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের কোষাগার থেকে খরচ করেই একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে রাজ্য। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের নিজস্ব আয় বৃদ্ধি নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী বার্তা দিতে পারেন বলেও মত ওয়াকিবহাল মহলের। আবার টাকা খরচ করে কোন কোন ক্ষেত্রে রাজ্যের প্রকল্পের সুবিধা তৃণমূল স্তর পর্যন্ত পৌঁছয়নি, তা নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী নানান দপ্তরের মন্ত্রী-সচিবদের কাছে প্রশ্ন তুলতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া নিয়ে একাধিক বৈঠক নিয়েছেন তিনি। জনস্বাস্থ্য কারিগরি সহ সংশ্লিষ্ট সমস্ত দপ্তরের সমন্বয় বজায় রেখে পানীয় জলের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। ফলে এই ক্ষেত্রে বর্তমান পরিস্থিতি কেমন, তারও তিনি খোঁজ নিতে পারেন বলেও জানা গিয়েছে। আবার স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিকাঠামো, রাস্তা তৈরি সহ অন্যান্য গ্রামোন্নয়ন প্রকল্প, বাঘ ও হাতির হানা সহ বন দপ্তরের একাধিক ইস্যু, কঠিন বর্জ্য পরিশোধন সহ নানান বিষয় নিয়ে তিনি পর্যালোচনা করবেন বলেও মনে করছে প্রশাসনিক মহল।