একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, প্রতারিত ব্যক্তির বাড়ি বিমানবন্দর থানার অন্তর্গত কৈখালিতে। ফোনে তাঁকে মোবাইল টাওয়ার বসানোর টোপ দেয় প্রতারকরা। কোম্পানির প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে প্রতারকরা ফোন করেছিল। বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য যে কোম্পানির টাওয়ার বসবে, তাদের ভুয়ো নথি, কেন্দ্রীয় যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের ভুয়ো নথি এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার ভুয়ো নথি ওই ব্যক্তিকে দেওয়া হয়। তা দেখে ওই ব্যক্তি রাজি হয়ে যান।
তারপর বিভিন্ন অজুহাতে প্রতারকরা নানা খাতে টাকা চাইতে শুরু করে। কখনও ফি বাবদ, কখনও অনুমতি বাবদ, কখনও আবার সিকিউরিটি মানি বাবদ। ওই ব্যক্তি নিজের সঞ্চিত সমস্ত অর্থ দিয়ে দেন। তারপরও টাকা চায় প্রতারকরা। ওই ব্যক্তি তখন নিজের জমি বিক্রি করে সেই টাকাও দিয়ে দেন। এমনকী, আত্মীয় ও বন্ধু-বান্ধবদের থেকেও ঋণ নিয়ে প্রতারকদের টাকা দেন। সব মিলিয়ে তিনি ২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা দিয়েছেন! পরে বুঝতে পারেন, তিনি প্রতারণার শিকার। এরপর গত ৪ এপ্রিল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
বিধাননগরের যুগ্ম পুলিস কমিশনার বাদানা বরুণ চন্দ্রশেখর জানিয়েছেন, ওই ঘটনার তদন্তে নেমে ৯ মে রাজারহাটের ভাতিন্ডা থেকে নিরুপম মুখোপাধ্যায় নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে এই ভুয়ো টাওয়ার বসানোর চক্রে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তার বয়ানের ভিত্তিতে কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানার অন্তর্গত ডালহৌসির কাছে একটি বিল্ডিংয়ে অভিযান চালানো হয়। সব মিলিয়ে মোট ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।