কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
বছর তিনেক আগে একই রাস্তায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা রোড শো করেছিলেন। তার অর্ধেক লোক সমাগমও এদিন হয়নি। জেলা নেতৃত্বের সাফাই, অমিত শাহের দেরির কারণে জমায়েত করা যায়নি। যদিও ঘোষিত সময়ের এক ঘণ্টার মধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছিল এদিনের রোড শো। বিজেপির দক্ষিণ মালদহ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পার্থসারথি ঘোষ বলেন, ‘নাড্ডাজির সভা জানুয়ারি মাসে হয়েছিল। তাছাড়া তখন মালদহে দলের একটিই সাংগঠনিক জেলা ছিল। ফলে বেশি লোক জড়ো করা গিয়েছিল। এদিন গরমে লোক কিছুটা কম হয়েছিল। আমরা মাত্র পাঁচটি বিধানসভা এলাকা থেকে লোক এনেছিলাম। অমিতজির আসতে দেরি হওয়ায় মনীষীদের মূর্তিতে আগেই মাল্যদান করা হয়েছিল। সেই কারণে তিনি আর মালা দেননি।’
এদিন রোড শো শেষে অমিত শাহ বলেন, ‘এরাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী অনুপ্রবেশ ও গুন্ডাগিরিকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। শাসকদলের মদতে দুর্নীতি হচ্ছে। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই এসব বন্ধ করতে পারেন। সেই কারণে বিজেপিকে জেতাতে হবে।’ উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দিতে সিএএ কার্যকর করার কথাও শোনা গিয়েছে তাঁর গলায়। গতবার দক্ষিণ মালদহে গেরুয়া প্রার্থী শ্রীরূপা পরাজিত হয়েছিলেন মাত্র হাজার আষ্টেক ভোটে। এবার পঞ্চাশ হাজার ব্যবধানে বিজেপিকে জেতানোর আর্জি জানান শাহ।
রায়গঞ্জ কেন্দ্রের গেরুয়া প্রার্থী কার্তিক পালের সমর্থনে এদিন করণদিঘি বিধানসভার রসাখোয়া ফুটবল মাঠেও জনসভা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, ‘এরাজ্যে বিজেপি ৩৫টি আসন পেলে উত্তরবঙ্গে এইমস হবে। রায়গঞ্জে দলকে জেতালে আমরা তা গড়ে তুলব।’ বাংলায় বন্ধ থাকা আবাস প্রকল্পের দেশজোড়া সাফল্যের কথাও এদিন শোনা গিয়েছে শাহের মুখে। তাঁর দাবি, ‘উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ফের মোদিজিকেই প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। একমাত্র আমরাই হিংসামুক্ত বাংলা গড়তে পারব।’