কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
শনিবারের ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্দরে। ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছে বসু পরিবারও। এমনকী অখিল ভারতীয় জনসঙ্ঘের পক্ষ থেকেও ‘মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করার কুচেষ্টার’ কড়া নিন্দা করা হয়েছে। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক রাজকুমার মিশ্র এই কাজের জন্য বিজেপিকে ধিক্কার জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নীরব থাকার বিষয়টি নিয়েও বিস্তর প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু ঘনিষ্ঠ মহলে ‘বাংলা এই অসম্মান মানবে না’ বাদে আর কোনও মন্তব্য করেননি মুখ্যমন্ত্রী। তাই রাজ্য রাজনীতির এই জটিল আবর্তে আজ মমতার জবাবের অপেক্ষায় সব মহল।
পুরশুড়ার সেকেন্দারপুরের জনসভা ঘিরে তুমুল উন্মাদনা রয়েছে জোড়াফুল শিবিরে। গত লোকসভা নির্বাচনে আরামবাগ লোকসভা আসনে কোনওক্রমে ‘মান’ বেঁচেছে তৃণমূলের। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দীর্ণ এই পুরশুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে প্রায় ২৬ হাজার ভোটে পিছিয়ে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। পুরশুড়ার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক পদ্মশিবিরে নাম লিখিয়েছেন। ‘পা বাড়িয়ে’ রয়েছেন আরও কয়েকজন। তবে ‘দোদুল্যমান’ ওই অংশকে অবশ্য ধর্তব্যের মধ্যে আনছেন না সাধারণ কর্মী-সমর্থকরা। জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদবের কথায়, লক্ষাধিক মানুষ আসবেন নেত্রীর কথা শুনতে।
নেতাজি জন্মজয়ন্তীতে ‘জয় হিন্দ’-এর পরিবর্তে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনির মধ্যে কোনও অন্যায় অবশ্য দেখছেন না বিজেপির শীর্ষ নেতারা। এই ঘটনার মধ্যে ‘মেরুকরণ’ খোঁজার চেষ্টাও চালিয়েছেন রাজ্যের বিজেপি পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। রবিবার শিলিগুড়িতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্যদের বাংলায় স্বাগত জানাতে ওই স্লোগান দেওয়া হয়েছিল। আসলে ৩০ শতাংশ মানুষকে খুশি করতে এতে অপমানিত হওয়ার কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ওয়াকিবহাল মহলের অবশ্য বক্তব্য, যাঁর জন্মজয়ন্তী নিয়ে এভাবে বিভাজনের রাজনীতি হচ্ছে, সেই নেতাজি বিজেপির পূর্বসূরি হিন্দু মহাসভা নিয়ে ঠিক কী বলেছিলেন তা প্রত্যেকের জানা উচিত। ১৯৪০ সালের ১২ মে ঝাড়গ্রামের এক জনসভায় তিনি বলেছিলেন—‘সন্ন্যাসী আর সন্ন্যাসিনীদের ত্রিশূল হাতে হিন্দু মহাসভা ভোট ভিক্ষায় পাঠিয়েছে। ত্রিশূল আর গেরুয়া বসন দেখলেই হিন্দু মাত্রেই শিরনত। ধর্মের সুযোগ নিয়ে ধর্মকে কলুষিত করে হিন্দু মহাসভা রাজনীতির ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে। হিন্দু মাত্রেই এর নিন্দা করা উচিত। এই বিশ্বাসঘাতকদের আপনার রাষ্ট্রীয় জীবন থেকে সরিয়ে দিন।’