কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
রায়ে বেঞ্চ বলেছে, আইন লঙ্ঘিত হলে, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বেআইনি পদক্ষেপ করা হয়ে থাকলে এবং তা নজরে আসার পর আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে। সেই অধিকার আদালতের আছে। উল্লেখ্য, মেধা তালিকা তৈরির পর একটি মামলার জেরে কমিশন ২ লক্ষ ২৮ হাজার ৬৭০ জন টেট পরীক্ষার্থীর নম্বর নতুন করে খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ২০১৫ সালের টেট পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কমিশন। নন্দিনী সিংহের মামলার সূত্রেই কমিশন বাধ্য হয়েছিল ওই পদক্ষেপ করতে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কমিশন ওই মামলাকারীকে টেট যোগ্যতাসম্পন্ন বলে ঘোষণা করেছিল। বেঞ্চ বলেছে, বারুদে তৈরি বাড়িকে নিমেষে ধ্বংস করতে একটি জ্বলন্ত দেশলাই কাঠিই যথেষ্ঠ। এই প্রেক্ষাপটেই রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল আদালতে ওই মন্তব্য করেন। তিনি বেঞ্চকে জানান, হাইকোর্টের নির্দেশে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।
লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, কমিশন বা রাজ্য সরকার একক বিচারপতির রায়কে চ্যালেঞ্জ করেনি। আবার নয়া আবেদনকারীদের বক্তব্যকে সমর্থনও করেনি। যা করেছিলেন মেধা তালিকায় ঠাঁই পাওয়া প্রার্থীরা। অথচ, এই তালিকা তৈরিতে পাঁচটি গুরুতর বেআইনি কাজের কথা একক বিচারপতির রায়ে উল্লেখ ছিল। যার প্রথম দু’টি হল ১) শিক্ষাগত কম যোগ্যতাসম্পন্নরা টেটে কম নম্বর পেয়েও মেধা তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন। ২) কে কত নম্বর পেয়েছেন, তা উল্লেখ না করেই ইন্টারভিউয়ে কাদের ডাকা হবে, সেই তালিকা প্রকাশ করা হয়।
মেধা তালিকায় নাম থাকলেই নিয়োগপত্র পাওয়ার অধিকার তৈরি হয় না। বেঞ্চ একথা জানিয়ে বলেছে, ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে বলার এক্তিয়ার রয়েছে কমিশনের। কিন্তু, কমিশনের চেয়ারম্যান হলফনামা দিয়ে আদালতকে জানিয়েছেন, নন্দিনী সিংহের মতো অন্যরাও হয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। যে কারণে কমিশন তার সব সদস্যের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সব প্রার্থীর নম্বরই পুনর্বিবেচনা করা হবে। অথচ, কমিশন আগে বলেছিল, উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের আবেদন গ্রাহ্য করা হবে না। এখন সেই পদক্ষেপই করছে তারা।