কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
কেন বিজেপি’র এমন দিশাহারা অবস্থা? দলের অন্দরের খবর, তৃণমূলনেত্রীর বিরুদ্ধে সাফল্য আদৌ পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়েই সন্দিহান নেতৃত্ব। এমনকী কোনও বড় হেভিওয়েট নেতাকেও প্রার্থী করলে সাফল্য মিলবে কি না সন্দেহ। আর সাফল্য না মিললে আদতে মুখ পুড়বে বিজেপিরই। অথচ এবারের বঙ্গভোটকে একপ্রকার নিজেদের ‘প্রেস্টিজ ফাইট’ হিসেবে দেখতে চাইছেন অমিত শাহ, জে পি নাড্ডারা। তাই এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে লেজেগোবরে হচ্ছে বঙ্গ বিজেপি। সেই কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপি কাকে প্রার্থী করবে, তা নিয়ে কৌতূহল থাকলেও, চুপ থাকছে গেরুয়া শিবির। রবিবার স্বয়ং বিজেপির রাজ্য সভাপতিও একপ্রকার সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিলেন বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিন দিলীপবাবু বলেছেন, ‘বিজেপি কোথায় কাকে প্রার্থী করবে, তা তালিকা বেরনোর পরেই সবাই দেখতে পাবেন। নন্দীগ্রাম বা ভবানীপুরে কে দলীয় প্রার্থী হবেন, তা নিয়ে দল এখনও পর্যন্ত কোনও আলোচনা করেনি। বাংলায় আগে ভোট ঘোষণা হোক, তারপর এ ব্যাপারে আলোচনা হবে।’ এবার প্রার্থীতালিকা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিজেপির সবথেকে বড় চিন্তা, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আদি এবং নব্য বিজেপির কোন্দল।
কেন্দ্রীয় বিজেপি সূত্রের খবর, রাজ্য বিজেপির এহেন দায়সারা মনোভাবে ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে দলের অন্দরেই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ইতিমধ্যেই বঙ্গ বিজেপিকে নির্দেশ দিয়েছেন, বাংলার ভোটে অন্তত ২০০টি আসনে জয়লাভ করতেই হবে। লক্ষ্যপূরণের উদ্দেশ্যে বারবার বাংলায় আসছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা। এমনকী প্রতি মাসে নিয়ম করে রাজ্যে যাচ্ছেন অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। চলতি সপ্তাহেই ফের দু’দিনের সফরে রাজ্যে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আগামী মাসের গোড়ায় রাজ্যে যাওয়ার কথা জে পি নাড্ডারও। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যেখানে তৎপরতা বাড়াচ্ছে, সেখানে রাজ্য নেতৃত্বের গয়ংগচ্ছ মনোভাবে অসন্তুষ্ট কেন্দ্রীয় নেতারা। দলীয় সূত্রের খবর, দলকে চাঙ্গা করতে উল্লিখিত ইস্যুতে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন তাঁরা।