বিদ্যার্থীদের পঠনপাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দারা মোক্তার আলি, রতন রায় বলেন, জনবহুল এলাকায় সকাল ৯টা নাগাদ চিতাবাঘ চলে আসে। বাঘটি পরপর কয়েকজনকে আহত করে। কিন্তু বনকর্মীরা সেটিকে কাবু করতে প্রথম দিকে উদ্যোগীই হননি। বিকেলে সেটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি করে অচৈতন্য করা হয়। আমরা বনদপ্তরের কাছে জখমদের সুষ্ঠু চিকিৎসা ব্যবস্থা করার দাবি রেখেছি।
বনদপ্তরের জলপাইগুড়ি বিভাগের এডিএফও রিয়া গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, স্ত্রী চিতাবাঘটিকে আমরা কাবু করতে পেরেছি। সেটিকে লাটাগুড়ি প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। সুস্থ করে গোরুমারা জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে। অনেকেই মোবাইল ফোনে ছবি তোলার অত্যুৎসাহী হয়ে উঠেছিলেন। এতেই বাঘের হামলায় কয়েকজন জখম হন। জখমদের চিকিৎসার বিষয়টি দেখা হচ্ছে।
সাপ্টিবাড়ির একটি মেয়ে পাতা তোলার জন্য চা বাগানে যাওয়ার সময়ে চা চিতাবাঘটি দেখতে পায়। চোখের সামনে চিতাবাঘ দেখতে পেয়ে সে চিৎকার জুড়ে দেয়। স্থানীয় লোকজন জড়ো হতেই চিতাবাঘটি আচমকাই ঝোপ থেকে বেরিয়ে একটি ছেলেকে আক্রমণ করে ঝোপে ঢুকে যায়। পরে স্থানীয়রা লাঠিসোঁটা নিয়ে বাঘের খোঁজ শুরু করে। চিতাবাঘটি প্রাণ বাঁচাতে এলাকার একটি বাঁশ বাগানে আশ্রয় নেয়। সেখানে লোকজন জড়ো হলে বাঘটি আরও দু’জনকে ঘায়েল করে। পরে আবার চিতাবাঘটি চা বাগানে চলে আসে। সেখানে যাওয়ার সময়ে দু’জনকে জখম করে।
প্রচুর লোক একত্রিত হওয়ায় চিতাবাঘটি আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। বনকর্মীরা পৌঁছে লোকজনকে নিরাপদ দূরত্বে চলে যেতে বললেও তাতে কেউ কান দেননি। লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে চিতাবাঘটি পাল্টা কাবু করতে ময়দানে নামে। ভিড় সরাতে বনকর্মীদের যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। অনেকেই মোবাইল ফোনে ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। বাধ্য হয়ে ময়নাগুড়ি থানা থেকে পুলিস পৌঁছে জনতাকে সরাতে লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে। স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়। ওই সময়ের মধ্যে বাঘটি বাঁশ বাগানে চলে আসে। তখন একজনকে জখম করে। পরে বনদপ্তরের টিম চিতাবাঘটিকে লক্ষ্য করে ঘুম পাড়ানি গুলি করে। বার কয়েক সেই গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। অবশেষে ঘুম পাড়ানি গুলিতে চিতাবাঘটি কাবু হলে বনদপ্তর সেটিকে হেফাজতে নেয়।