বিদ্যার্থীদের পঠনপাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বিজেপির ‘সোনার বাংলা’ গড়ার প্রতিশ্রুতির প্রতিধ্বনি শোনা গিয়েছে নরেন্দ্র মোদির গলায়। তাঁর কথায়, নেতাজি সুভাষ আত্মনির্ভর ভারতের সঙ্গে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে দর্শকদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, আপনারা নিজের সংকল্পের প্রতি আস্থাশীল থাকলে কোনও কিছুই অসম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রীর আশা, বাংলা আগে আসুক। দেশের গৌরবকে আরও গরিমান্বিত করুক। নেতাজির স্বপ্ন পূরণে আপনারা নিজেদের সংকল্পে সফল হোন। বিজেপির এই ‘স্টার’ ক্যাম্পেনারের এই বক্তব্যে পরোক্ষে রাজনীতির যোগ খুঁজে পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল। এদিন বিকাল ৪টা ১৮ মিনিট নাগাদ ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে প্রবেশ করে এসপিজি সুরক্ষায় মোড়া ভিভিআইপি’র কনভয়। সেখান থেকে ভিক্টোরিয়ার উত্তর গেট ধরে ব্রিটিশ আমলে তৈরি এই স্মৃতি সৌধে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী ও দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
সেখানে নেতাজির জীবনের উপর তৈরি চিত্র প্রদর্শণী ‘নির্ভীক সুভাষ’এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর প্রায় ১৩ মিটিন ধরে ভিক্টোরিয়া হলের নানা জায়গা ঘুরে দেখেন তিনি। সেখান থেকে বেরিয়ে সোজা অনুষ্ঠান মঞ্চে হাজির হন অতিথিরা। বাংলার বিভিন্ন জেলার ১২৫ জন ছাত্র-ছাত্রীরা নেতাজির উপর তৈরি গান পরিবেশন করে। তারপর একাধিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকেন প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী। মোদি এদিন আধ ঘন্টার বেশি সময় ধরে চলা ভাষণে প্রায় দশবার বাংলা ভাষা ব্যবহার করেছেন। টেলি প্রম্পটারে আগে থেকে লিখে রাখা শব্দবন্ধ উচ্চারণে অধিকাংশ সময়ই খোঁচট খেয়েছেন মোদি। বাংলা ভোটের আগে বাঙালির আরও কাছে আসতে প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগ ঘিরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া মিলেছে। বিজেপির অনেক নেতার দাবি, গুজরাতের এই নেতা বাংলা শেখার চেষ্টা করছেন। কিন্তু এখনও তা রপ্ত করতে পারেননি। তারই সাক্ষী থাকছে, প্রধানমন্ত্রীর একাধিক ভার্চুয়াল এবং অ্যাকচুয়াল সভা। এদিন প্রধানমন্ত্রী নেতাজির উপর তৈরি বিশেষ স্মারক মুদ্রা, ডাক টিকিট এবং ১৯২৬ থেকে ১৯৩৮ এই সময়ে লেখা চিঠির গ্রন্থ সূচনা করেন। সবশেষে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনের উপর তৈরি বিশেষ লাইট অ্যান্ড সাউন্ড ‘ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল’ এর পর্দায় চাক্ষুষ করেন প্রধানমন্ত্রী।