উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
জুন মাসে কেন্দ্র পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য চালু করে গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযান। ঘরে ফেরা শ্রমিকদের শর্তসাপেক্ষে ত্রাণ দিতেই এই প্রকল্প চালু হয়। মুস্তাক আলম ও অন্যান্যরা দাবি করেন, এই প্রকল্পের সুবিধা তাঁদেরও প্রাপ্য ছিল। কিন্তু, তা তাঁরা পাননি। কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী ওয়াই জে দস্তুর আদালতকে জানান, শর্ত ছিল, ৩০ মে’র মধ্যে যে সব জেলায় ২৫ হাজারের বেশি পরিযায়ী শ্রমিক ফিরেছেন, তাঁরাই এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। রাজ্য সরকারের দায়িত্ব ছিল সেই সব জেলাকে চিহ্নিত করা। যাতে উপযুক্ত শ্রমিকরা এই প্রকল্পের সুবিধা পান।
মামলাকারীরা আদালতকে জানান, মালদহ সদরের এসডিও চিঠিতে জানিয়েছেন, লকডাউন পর্বে জেলায় ফিরেছেন ৪২ হাজার ৫০৬ জন পরিযায়ী শ্রমিক। যদিও ৩০ মে’র মধ্যে ২৫ হাজার শ্রমিক ফিরেছিলেন কি না, সেকথা ওই চিঠিতে বলা নেই। কেন্দ্র জানায়, ২২ অক্টোবর প্রকল্পটি শেষ হয়েছে। মামলাকারীদের দাবি, ২২ নভেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে। উল্লেখ্য, নোটিস পাঠানো সত্ত্বেও রাজ্য সরকারের পক্ষে কোনও আইনজীবী শুনানিতে ছিলেন না বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই অবস্থায় আদালত বলেছে, প্রকল্পের কোনও নথি জমা দেওয়া হয়নি। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে, নাকি চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত বহাল রয়েছে, তা কেন্দ্রীয় সরকারকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে। সঙ্গে দিতে হবে প্রকল্পের নথি। এই শ্রমিকরা প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার যোগ্য কি না, তাও জানাতে হবে। তবে শর্তে যে দিনের সীমারেখা টানা হয়েছে, তার মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা ২৫ হাজার না হলেও সরকার এই সুবিধা দেওয়ার উদ্যোগ নিতে পারে। ১২ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।