উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
এর আগে অভিযুক্তের একাধিক অফিস ও বাড়িতে একযোগে তল্লাশি চালিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) ও আয়কর দপ্তর। সেখানেই বাজেয়াপ্ত হওয়ার বিভিন্ন নথিপত্র ঘেঁটে লালার দেড়শো থেকে দু’শো ভুয়ো কোম্পানির হদিশ পান তদন্তকারীরা। সেই সমস্ত কোম্পানি থেকে হওয়া আর্থিক লেনদেনের ঠিকুজি খুঁজে বের করতেই ফরেন্সিক অডিটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঠিক কী কী তথ্য পাওয়া যাবে এই অডিট থেকে? জানা গিয়েছে, কোন অ্যাকাউন্টে, কত টাকা, কবে ঢুকেছে, সেটা জানা যাবে। কার নামে অ্যাকাউন্ট, সেই অ্যাকাউন্ট কবে খোলা হয়েছে, জানা যাবে তাও। এছাড়াও কোথায় কোথায় আরটিজিএস বা এনইএফটি’র মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয়েছে, কত টাকা পাঠানো হয়েছে, নগদে টাকা তোলা হয়েছে কি না, তোলা হলে তা চেক নাকি এটিএম থেকে তোলা হয়েছে, সেই এটিএমের কোড বা চেকের নম্বর— সব তথ্যই উঠে আসবে ফরেন্সিক অডিটে। শুধু তাই নয়, ওই সংস্থাগুলিতে শেষ কবে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) হয়েছে, কত টাকা আয়কর জমা দেওয়া হয়েছে জানা যাবে সেটাও। উল্লেখ্য, হায়দরাবাদের সত্যম কেলেঙ্কারিতে তদন্তের জাল গোটাতে একই কায়দায় ফরেন্সিক অডিটের পথে হেঁটেছিলেন তদন্তকারীরা।
পাশাপাশি আয়কর দপ্তর জানতে পেরেছে, লালাকে ভুয়ো কোম্পানি খুলতে সাহায্য করেছিল কলকাতারই দু’টি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফার্ম। আপাতত ওই দু’টি ফার্মও আয়কর দপ্তর ইডি’র নজরে রয়েছে। তদন্তকারীরা জেনেছেন, ওই সিএ ফার্মে অংশীদারিত্ব রয়েছে রাজ্যের এক প্রভাবশালীর। তাঁরই অঙ্গুলিহেলনে ভুয়ো সংস্থাগুলি খোলা ও সেগুলির পরিচালনার কাজ চালাত সিএ ফার্মগুলি। সূত্রের খবর, এবিষয়ে আরও তথ্য পেতে ওই সিএ ফার্মের কর্তাদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে ইডি ও আয়কর দপ্তর। অভিযোগ, ভুয়ো কোম্পানি ও হাওলা— এই দুই মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার কাজ চালাত লালা। জানা গিয়েছে, হাওলার টাকা প্রথমে আসত দুর্গাপুর-আসানসোল হাইওয়ের ধারের একটি হোটেলে। সেখান থেকে তা পৌঁছত কলকাতায় বসে থাকা প্রভাবশালীর কাছে।
যদিও, গোটা বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে লালাকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তার ঘনিষ্ঠদেরও ফোনে পাওয়া যায়নি।