উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
তৃণমূল প্রভাবিত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের জেলা কমিটি গঠনের উদ্যোগ শুরু হয়েছে। বিজেপি প্রভাবিত সরকারি কর্মচারী পরিষদের একাধিক গোষ্ঠীকে একই ছাতার তলার আনার চেষ্টা চলছে। অন্যদিকে, কো-অর্ডিনেশন কমিটি ২৬ নভেম্বর একগুচছ দাবিতে শ্রমিক ও গণ সংগঠনের ডাকা দেশব্যাপী ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে তাদের সক্রিয়তা বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে। আজ, সোমবার সংগঠনের তরফে সরকারের কাছে ১৫ দিন আগে নিয়মমাফিক ধর্মঘটের নোটিস দেওয়া হবে। সরকারি অফিসে ওই ধর্মঘটের পক্ষে প্রচার চালাবে সংগঠন।
পুজোর আগে তৃণমূল ভবনে রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন নিয়ে একটি বৈঠক হয়। তৃণমূলের কয়েকজন প্রথম সারির নেতা ছিলেন। সংগঠনে আগে তিনজন আহ্বায়ক ছিলেন। এখন দিব্যেন্দু রায় আহ্বায়ক হিসেবে প্রধান দায়িত্ব নিয়েছেন। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সল্টলেকে ফেডারেশনের তরফে কেন্দ্রের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত ও নীতির বিরোধিতা করে মিছিল বের করা হয়। ফেডারেশন গঠনের পর কয়েক বছর কেটে গেলেও জেলা কমিটি হয়নি। গত বছর জেলাগুলির শুধু আহ্বায়ক মনোনয়ন করা হয়েছিল। এবার কমিটি গঠনের কাজ শুরু হয়েছে। বাঁকুড়া জেলা কমিটির সদস্যদের নাম চূড়ান্ত করে জেলায় পাঠানো হয়েছে। তৃণমূলের দুই শীর্ষ নেতার সঙ্গে আলোচনা করে ওই কমিটি গড়া হয়েছে। অন্যান্য জেলার কমিটি গড়ার কাজ চলছে। তবে ফেডারেশনের কোর কমিটির সদস্যদের মধ্যে থেকে অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা না করেই জেলা কমিটি হচ্ছে। সাম্প্রতিক অতীতে ফেডারেশন একাধিকবার বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করেছে। মুখ্যমন্ত্রী বিজয়া সম্মিলনীতে এসে সরকারি কর্মীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছেন।
কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে এখনও সরকারি অফিসে কর্মীদের উপস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় এবার এরকম কর্মসূচি হয়নি।
বিজেপি প্রভাবিত কর্মচারী পরিষদ অবশ্য ডিসেম্বরে ধর্মতলায় প্রকাশ্যে সভা করার উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছে। কর্মচারী পরিষদের নামে এখন একাধিক গোষ্ঠী সমান্তরালভাবে চলছে। এনএফআইটিইউ অনুমোদিত একটি গোষ্ঠী আছে। অন্য একটি গোষ্ঠীরও নতুন কমিটি তৈরি হয়েছে। আগে কর্মচারী পরিষদে থাকলেও এখনও আলাদাভাবে চলছেন, এমন কয়েকজন নেতাও আছেন। সবাইকে নিয়ে একটি সংগঠন তৈরি করে ধর্মতলায় সমাবেশ করার চেষ্টা চলছে।