অত্যাধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
উচ্চ মাধ্যমিকের রুটিনে অবশ্য কোনও হেরফের হচ্ছে না। ২৯ জুনের পরীক্ষাগুলি হচ্ছে। তবে সাইক্লোনে বিধ্বস্ত আটটি জেলায় মোট ১০৫৮টি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্র বাছাই করা হয়েছিল। তার মধ্যে ৪৬২টি স্কুলকে পরীক্ষা গ্রহণের অনুপযুক্ত করে দিয়েছে উম-পুনের তাণ্ডব। তাই অন্য স্কুল বাছাই করার পাশাপাশি এলাকার কলেজগুলিকেও পরীক্ষাকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরীক্ষার্থীদের বই বিতরণের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী জানান। শিক্ষকদের কাছে তিনি আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে তাঁরা স্থানীয়ভাবে ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পড়া বুঝিয়ে আসেন। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলি অবশ্য নিজস্ব নিয়মেই পরীক্ষা নেবে। স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কি না, তা দেখা ছাড়া সরকার তাতে নাক গলাবে না বলেই শিক্ষামন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে শিক্ষক সংগঠনগুলি অবশ্য বলছে, ট্রেন চলাচল শুরু না-হলে জুন মাসে পরীক্ষা গ্রহণ কঠিন হবে। তাছাড়া ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ক্লাস নেওয়ার বিষয়টিও খুব একটা বাস্তবসম্মত হবে বলে তারা মনে করছে না।
পার্থবাবু এদিন বলেন, ইতিমধ্যেই শিক্ষাক্ষেত্রে ক্ষয়ক্ষতির যে হিসেব এসেছে, তা ৭০০ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। শেষ পর্যন্ত এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০০০ কোটি ছাড়াবে বলে তাঁর আশঙ্কা। বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরে সেই হিসেব পাঠানো হয়েছে। এই অবস্থায় কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি বা সিএসআর প্রকল্প নিয়ে শিল্প সংস্থাগুলিকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তারা এই সময় এগিয়ে না-এলে আর কখন আসবে? কোথাও স্কুলঘর, কোথাও শৌচাগার, আবার কোথাও মিড ডে মিলের রান্নাঘর তৈরি করে দিতে হবে। এই অবস্থায় বেসরকারি সহযোগিতা না-পেলে কাজটি যে বেশ কঠিন হবে, সেটাই তিনি বোঝাতে চেয়েছেন।