বিদ্যার্থীদের অধিক পরিশ্রম করতে হবে। অন্যথায় পরীক্ষার ফল ভালো হবে না। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো ... বিশদ
চাষিরা ধান বিক্রি করতে গিয়ে যাতে কোনওরকম অসুবিধায় না পড়েন, সেটাও নিশ্চিত করতে এদিনের বৈঠকে সমবায় সংস্থাগুলিকে বলা হয়েছে। চাষিদের অভিযোগ থাকে, নানা অজুহাতে বিশেষ করে ধানের গুণগত মান খারাপ দেখিয়ে তাঁদের প্রাপ্য অর্থের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হয়। ছোট ও প্রান্তিক চাষিদের কাছ থেকে ধান কিনে তাদের অভাবী বিক্রি বন্ধ করা যে সরকারের অন্যতম লক্ষ্য, সেটাও জানিয়ে দিয়েছেন সরকারি শীর্ষকর্তারা। আরও বেশি সমবায় সংস্থাকে নিয়ে চলতি মাসেই নজরুল মঞ্চে একটি বৈঠক হবে। সেখানেও ধান কেনাই আলোচ্য বিষয়। কাল, রবিবার খাদ্য দপ্তর এই ইস্যুতে বৈঠক ডেকেছে। দক্ষিণবঙ্গের ধান ক্রয় কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের ওই বৈঠকে ডাকা হয়েছে। ধান কেনার প্রক্রিয়া এখন গতি পাচ্ছে। চলতি খরিফ মরশুমে প্রায় ৪০ হাজার টন ধান কেনা হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে সরকারি উদ্যোগে যতটা বেশি সম্ভব ধান কিনে ফেলাই সরকারের লক্ষ্য। কারণ নতুন ধান ওঠার পর এই সময়ে চাষিরা টাকার প্রয়োজনে কম দামে অভাবী বিক্রি করতে বাধ্য হন। সরকারি উদ্যোগে প্রতি কুইন্টাল ধান এবার ১৮১৫ টাকা দরে কেনা হচ্ছে। স্থায়ী কেন্দ্রে বিক্রি করলে আরও ২০ টাকা করে অতিরিক্ত পাচ্ছেন চাষিরা।
খাদ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ধান কেনার জন্য ৮৯৫টি সমবায় সংস্থা নথিভুক্ত হয়েছে। এই সংখ্যা বাড়িয়ে দুই হাজার করতে চাইছেন তাঁরা। গতবার প্রায় পাঁচশো স্বনির্ভর গোষ্ঠী ধান কেনার কাজে যুক্ত ছিল। এবার এখন সেই সংখ্যা বেড়ে ৯৫৫টি হয়েছে। হাজার দুয়েক স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে নামাতে চাইছে খাদ্য দপ্তর। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি গ্রামের মধ্যে চাষির বাড়ির প্রায় দোরগোড়ায় এসে ধান কিনে নিয়ে যায়। ফলে চাষিরা তাদের কাছে ধান বিক্রি করতে বেশি উৎসাহী হন। সমবায় সংস্থাগুলিও গ্রামের মধ্যে অস্থায়ী শিবির খোলে। যেখানে স্থায়ী ধান ক্রয় কেন্দ্রগুলির বেশিরভাগই কিষাণ বাজার থেকে চালানো হচ্ছে। ঘর থেকে কিষাণ বাজারের দূরত্ব বেশি হওয়ায় অনেক চাষি সেখানে যেতে আগ্রহী হন না। সমবায়মন্ত্রী অরূপবাবু জানিয়েছেন, ধান কেনায় সমবায় সংস্থাগুলি বড় ভূমিকা পালন করে। এবার তা আরও বাড়বে। কৃষিমন্ত্রী আশিসবাবু চাষিদের সুবিধা-অসুবিধার দিকে নজর রাখার উপর জোর দেন।
এদিনের বৈঠকে প্রায় সাতশো সমবায় সংস্থার প্রতিনিধিরা ছিলেন। ধান কেনার পর তা ভানিয়ে চাল উৎপাদনের জন্য সরকার, সমবায় সংস্থা ও রাইস মিলগুলির মধ্যে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি হয়। এখনও পর্যন্ত ৫০০টি সমবায় সংস্থার সঙ্গে রাইস মিলগুলির চুক্তি হয়েছে বলে ওয়েস্ট বেঙ্গল রাইস মিল ওনারস অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সভাপতি আব্দুল মালেক জানিয়েছেন। এদিনের বৈঠকে সমবায় সংস্থাগুলির পক্ষ থেকে কমিশনের বাইরে তাদের কিছু অতিরিক্ত অর্থ দেওয়ার প্রসঙ্গ তোলা হয়েছিল।