বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
মুখ্যসচিব মলয় দে’র জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আবেদনপত্রের সঙ্গে আয় ও সম্পত্তির সার্টিফিকেট দিতে হবে। কলকাতা পুরসভা এলাকা বাদে রাজ্যের অন্য এলাকায় এই সার্টিফিকেট দেওয়ার ক্ষমতা জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক ও মহকুমা শাসককে দেওয়া হয়েছে। কলকাতা পুরসভা এলাকায় এই সার্টিফিকেট দেবেন ডিডব্লুও (ডিস্ট্রিক্ট ওয়েলফেয়ার অফিসার)। আয় ও সম্পত্তির সার্টিফিকেট সহ নির্দিষ্ট ফর্মে আবেদনপত্র পেশ করতে হবে বিডিও (গ্রামীণ এলাকার জন্য), এসডিও (পুরসভা এলাকার জন্য) ও ডিস্ট্রিক্ট ওয়েলফেয়ার অফিসার (কলকাতা পুরসভা এলাকার জন্য) কাছে। তাছাড়াও আবেদনপত্রের সঙ্গে অভিভাবকের পে-স্লিপ, জমি, বাড়ির মালিকানার নথি, আবাসিক সার্টিফিকেট, অভিভাবকের বা নিজের প্যান কার্ড, অভিভাবক বা নিজের সচিত্র ভোটার কার্ড ও সম্পত্তির ব্যাপারে নিজস্ব ঘোষণাপত্র প্রভৃতি জমা দিতে হবে।
আবেদনপত্র জমা হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দু’সপ্তাহের মধ্যে আবেদনকারীকে শুনানিতে ডাকবেন। সেই সময় প্রয়োজনীয় নথিপত্র নিয়ে যেতে হবে। কৃষি জমি, বাড়ি প্রভৃতি পরিদর্শনের মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হবে। পঞ্চায়েত ও পুরসভা এলাকায় পরিদর্শনের কাজ করবে বিএলআরও অফিস। কলকাতা পুরসভা এলাকায় বিএলআরও ছাড়াও চিফ ভ্যালুয়ার ও সার্ভেয়ার অফিসকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সব কিছু খতিয়ে দেখার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সার্টিফিকেট ইস্যু করবে। তবে ওই সার্টিফিকেট পাওয়ার পর সংরক্ষণের সুযোগে চাকরি পাওয়ার পর তদন্তে যদি প্রামণিত হয় যে, আয় ও সম্পত্তি সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দেওয়া হয়েছে, তাহলে চাকরি চলে যাবে। তাছাড়া ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কিছু ক্ষেত্র ছাড়া সরকারি চাকরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সুযোগ মিলবে। তবে গ্রুপ এ সরকারি চাকরির নিম্নতম গ্রেডের উপরের চাকরিতে এই সংরক্ষণের সুবিধা দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। বিজ্ঞানী ও কারিগরি বিশেষজ্ঞ সংক্রান্ত পদে নিয়োগে এই সংরক্ষণ মিলবে না।
এবারের লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় সরকার আর্থিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর জন্য সরকারি চাকরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে। কিন্তু রাজ্য সরকার এব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় রাজ্যের বাসিন্দারা এই সুযোগ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরিতে ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে এই ১০ শতাংশ সংরক্ষণ ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এরাজ্যে সার্টিফিকেট দেওয়া শুরু না হওয়ায় এখানকার প্রার্থীরা এর সুযোগ নিতে পারছিলেন না। সদ্য শেষ হওয়া বিধানসভার অধিবেশনে বিরোধীরা এই প্রসঙ্গ তোলেন। অধিবেশন চলার সময় মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্য সরকার সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেয়। এর কয়েকদিনের মধ্যেই বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্য সরকার। এবার আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা মানুষ সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করতে পারবেন।