বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
শুধু কাঁচরাপাড়া নয়, হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য মৃত্যুঞ্জয় দাস এদিন অভিষেকের হাত ধরে তৃণমূলে ফিরে আসেন। ফলে ওই পুরসভায় ২৩টি আসনের মধ্যে ১৩টি এল তৃণমূলের দখলে। গত ৯ জুলাই এই পুরসভার চেয়ারম্যান অংশুমান রায় সহ আটজন কাউন্সিলার বিধানসভায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূলে ফিরে আসার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। তারপর পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সাংবাদিক বৈঠক করে ওই আটজনের তৃণমূলে ফিরে আসার কথা জানিয়ে দেন। ভয় দেখিয়ে, সন্ত্রাস করে ওই সব কাউন্সিলারদের বিজেপিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। তার জবাবে বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, এই সব পুরসভায় অনাস্থা ভোটে বিজেপিই ক্ষমতায় আসবে। পুলিসকে দিয়ে ভয় দেখিয়ে তাঁদের বিজেপি থেকে তৃণমূলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কাঁচরাপাড়া, হালিশহরের সঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতেও তৃণমূলের ‘ঘর ওয়াপসি’র ঘটনা ঘটে। এদিন বালুরঘাট পুরসভার সভাগৃহে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষের হাত ধরে দলে ফিরে এলেন জেলা পরিষদের তিন সদস্য। কয়েকদিন আগেই তাঁরা তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। জেলা পরিষদের ওই তিন সদস্য হলেন পঞ্চানন বর্মন, ইরা রায় ও গৌরী মালি। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে অর্পিতাদেবী বলেন, কয়েক দিনের মধ্যে আরও দু’জন সদস্য তৃণমূলে যোগদান করবেন। এঁদের সবাইকেই ভুল বুঝিয়ে বিজেপিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এদিন জেলা পরিষদের ওই তিন সদস্য বলেন, বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে আমরা বিজেপিতে গিয়েছিলাম। নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে স্বেচ্ছায় তৃণমূলে ফিরলাম। যদিও বিজেপির জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার বলেন, পুলিস প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে ভয় দেখিয়ে ওঁদের আমাদের দল থেকে তৃণমূল নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এর ফলে জেলা পরিষদের ১৮ জন সদস্যের মধ্যে তৃণমূলের ১১ জন আর বিজেপি’র সাতজন রইলেন।
রাজনৈতিক মহলের মতে, এদিন দলত্যাগীদের একাংশ তৃণমূলে ফিরে আসায় বিজেপি অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে গেল। অন্যদিকে জেলা পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ফিরে পাওয়ায় রাজনৈতিকভাবে তৃণমূল ফের সম্মানের জায়গায় ফিরে এল। যদিও জেলা পরিষদের সভাধিপতি ললিতা রায় এখনও বিজেপিতেই রয়েছেন।
তবে এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্রমণের লক্ষ্য ছিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। অভিষেক বলেন, কাঁচরাপাড়ার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান সহ ১৭ জন কাউন্সিলারকে ভয় দেখিয়ে গত ২৮ মে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে পাঁচজন আগেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। চেয়ারম্যান সহ ন’জন আজ দলে ফিরে এলেন। বর্তমানে ওই পুরসভায় তৃণমূলের কাউন্সিলারের সংখ্যা দাঁড়াল ১৯। তৃণমূল ছেড়ে যাঁরা বিজেপি’তে চলে গিয়েছিলেন, তাঁরা সবাই তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। কাকে দলে ফিরিয়ে নেওয়া হবে, সেই সিদ্ধান্ত দল নেবে। মুকুলকে কটাক্ষ করে অভিষেকবাবু বলেন, যে নিজের গড় রক্ষা করতে পারে না, সে ১০৭ জন বিধায়ককে দলে নেবে। মুকুলপুত্রকে দলে রাখা নিয়েও চ্যালেঞ্জ ছোঁড়েন অভিষেক। সেই সঙ্গে বলেন, আপনারা চাণক্য বলেন। উনি চাণক্য নন, মেড ইন চায়না।