বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
গ্রীষ্মকালে শহরের বিভিন্ন জায়গায় জলকষ্ট দেখা দেয়। জলের পাম্প থেকে চাহিদা মতো জল ওঠে না। একদিকে, মাটির নীচের জলস্তরও ক্রমে নেমে যাচ্ছে। আবার বিভিন্ন ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে পাম্পের কর্মক্ষমতাও কমে গিয়েছে। সেই পাম্পও সরাতে হবে। তাই কোথায় জল কম পাওয়া যাচ্ছে এবং কেন জল কম উঠছে, তার একটি ইঞ্জিনিয়ারিং সমীক্ষা হয়। তাতে দেখা যায়, বেশ কিছু পাম্পের বয়স হওয়ার কারণেও কর্মক্ষমতা কমে গিয়েছে। বিদ্যুতের অপচয় বেশি হচ্ছে, কিন্তু জল সেভাবে উঠছে না। তাই ঠিক করা হয়, ওই পাম্পগুলিকে বদলে ফেলে বিদ্যুৎ যাতে কম অপচয় হয়, এমন আধুনিক জলের পাম্প নতুন করে বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। এর জন্য দি মিউনিসিপাল এনার্জি এফিসিয়েন্সি প্রোগ্রাম (এমইইপি) নেয় পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর। এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ইইএসএল-কে। ওই পাম্পগুলি বসাতে তাদের খরচ হবে ৮৬ কোটি টাকা।
চুক্তি অনুযায়ী, আগামী সাত বছরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব থাকবে ওই সংস্থার। এই সাত বছরে বিদ্যুতের বিল বাবদ ১৫৩ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা সরকারের বেঁচে যাবে। তার মধ্যে ৮৬ কোটি টাকা ইইএসএল-কে দেওয়া হবে। সেই টাকায় পাম্প বসাবে ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে তারা। বাকি ৬৭ কোটি টাকা সরকারের সঞ্চয় হবে। গোটা প্রকল্পের জন্য পুরসচিব সুব্রত গুপ্তের সঙ্গে ইইএসএলের ডিরেক্টর (কমার্শিয়াল) এস গোপালের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ঠিক হয়েছে, প্রথম পর্যায়ে ৩৯টি পুরসভায় জলের পাম্প বদল করার কর্মসূচি নেওয়া হবে। এরপর ৫৫টি পুরসভয় এমন পুরনো পাম্প বদল করা হবে। এক লক্ষের বেশি বাসিন্দা যেসব পুরসভায় আছে, সেগুলিতে এই পাম্প বদলে ফেলার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, আমরা ভবিষ্যতের কথা ভেবে আগে থেকেই জলের পাম্প বদলানোর কর্মসূচি নিয়েছি। এর জন্য এনার্জি এফিসিয়েন্সি প্রোগ্রাম নেওয়া হয়েছে। বয়স হয়ে যাওয়া জলের পাম্পগুলিকে বদলে ফেলা হবে। নতুন পাম্প বসানোর ফলে কর্মক্ষমতা যেমন বাড়বে, তেমনই বিদ্যুতের অপচয়ও কমবে। উন্নতমানের ও দীর্ঘস্থায়ী নাগরিক পরিষেবা দিতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হল।