দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম বাড়বে। অফিস কর্মীদের পক্ষে দিনটি শুভ । শিক্ষার্থীদের সাফল্য ও খ্যাতি ... বিশদ
বুধবার রাতে বড়তলা থানা এলাকায় এই লুটপাটের ঘটনা ঘটে। বৃদ্ধাকে মারধর করে তাঁর বাড়ির পরিচারিকা ও আবাসনের কেয়ারটেকারকে ছুরি দেখিয়ে গয়না ও নগদ সহ ৩০ লক্ষাধিক মূল্যের সামগ্রী নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। তদন্তে নেমে পুলিস সন্দেহভাজন হিসেবে কেয়ারটেকার ও পরিচারিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু তেমন কোনও ‘ক্লু’ মেলেনি, যার সূত্র ধরে অভিযুক্তদের হদিশ পেতে পারে পুলিস। এরপরই ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করতে যায় পুলিস। আবাসনের মোট চার জায়গায় সিসি ক্যামেরা বসানো রয়েছে। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে আবাসনে ঢোকার মূল প্রবেশদ্বারে কয়েক মিটারের মধ্যেই দু’টি ক্যামেরা রয়েছে। সেই ক্যামেরায় বুধবার মধ্যরাতের ফুটেজে দুই দুষ্কৃতীকে দেখা যায়। পুলিস জানিয়েছে, তাদের মাথা ও মুখ কালো কাপড়ে ঢাকা ছিল। খোলা ছিল শুধুমাত্র চোখ। তারপর ওই দু’জন সিসি ক্যামেরার তার কেটে দেয়। এরপর সোজা চলে যায় আবাসনে অবস্থিত সিসি ক্যামেরা কন্ট্রোল রুমে। সেখান থেকে সবক’টি ক্যামেরা ‘অফ’ করে দেওয়া হয়। পরবর্তী আধঘণ্টায় দুষ্কৃতীরা বৃদ্ধার আলমারির লকার ফাঁকা করে দেয়। যেভাবে ক্যামেরা বিকল করে ‘অপারেশন’ করা হয়েছে, তাতে পুলিস নিশ্চিত যে এই ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত। আগেই ঘটনাস্থল রেকি করে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। তা নাহলে আবাসনের ক্যামেরা কন্ট্রোল রুম কোথায়, তা চটজলদি জেনে ফেলা তাদের পক্ষে সম্ভব হতো না।
তদন্তে নেমে পুলিস ওই বাড়ি থেকে দু’টি জামা বাজেয়াপ্ত করেছে। তাদের দাবি, ওই দু’টি জামা দুষ্কৃতীদেরই। ওই জামা পরে তারা আবাসনে ঢোকে। কিন্তু বেরনোর সময় পুলিসের চোখে ধুলো দিতে তারা জামা বদলে নেয়। এর ফলে দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করতে আরও বেকায়দায় পড়েছেন তদন্তকারীরা।-ফাইল চিত্র