দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম বাড়বে। অফিস কর্মীদের পক্ষে দিনটি শুভ । শিক্ষার্থীদের সাফল্য ও খ্যাতি ... বিশদ
এই লুটপাটের পর গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে অভিযোগকারী মহিলা জানান, দুষ্কৃতীরা আগে থেকেই বাড়ির দোতলায় হাজির ছিল। তিনি বাপের বাড়ি থেকে ফিরে ঘরে ঢোকা মাত্রই তারা তাঁর উপর চড়াও হয়। মুখে গেঞ্জি ঢুকিয়ে দেয়, হাত বেঁধে দেয় সুতো দিয়ে। ছেলে তখন বাড়িতে ছিল না। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, মহিলা বাড়িতে ঢোকার প্রায় ১৫-২০ মিনিট পরে ছেলেকে বের হতে দেখা গিয়েছে। সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন উঠছে, তবে সৎ মা এবং ছেলে একযোগে পুলিসকে কেন মিথ্যা বলতে গেলেন? এটা ইচ্ছাকৃতভাবে পুলিসকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা, নাকি বাড়িতে চুরি হওয়াঅর ঘটনায় ঘাবড়ে গিয়ে পুলিসকে ভুল তথ্য দিয়েছেন সৎ মা ও ছেলে, তদন্তে তা দেখা হচ্ছে।
পাশাপাশি, গয়না লুটের সময় যে সরু সুতো দিয়ে সৎ মায়ের হাত বেঁধেছিল দুষ্কৃতীরা, তা গোয়েন্দাদের চোখে মোটেও বাস্তব সম্মত নয়। কারণ, এসব ক্ষেত্রে মোটা দড়ি দিয়ে হাত বাঁধা হয়। পাশাপাশি, লুটপাট করার সময় দুষ্কৃতী দল টেবিলে থাকা প্লেট অযথা ভাঙতে গেল কেন, তা নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে। আবার, আলমারির লকার খুলে শুধমাত্র ছেলের বিয়ের জন্য সদ্য কেনা ১৬০ গ্রাম সোনার গয়না লুট করা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, বাড়িতে শুধু সোনার গয়না রয়েছে, এই তথ্য দুষ্কৃতীরা জানল কি করে? আবার, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ তন্ন তন্ন করে ঘেঁটেও, গোয়েন্দারা ওই বাড়ি থেকে দুষ্কৃতীরা কেউ বের হচ্ছে, এমনটা দেখতে পাননি! সবমিলিয়ে ‘অসঙ্গতির’ স্তূপ থেকে সত্য খুঁজতে হয়রান হচ্ছেন তদন্তকারীরা!