দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম বাড়বে। অফিস কর্মীদের পক্ষে দিনটি শুভ । শিক্ষার্থীদের সাফল্য ও খ্যাতি ... বিশদ
কিন্ত ৪ তীব্রতার ভূকম্পের এপিসেন্টার কলকাতার কাছাকাছি হলে দিল্লির তুলনায় কম্পনের মাত্রা ও ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই বেশি হতো বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। জিএসআইয়ের অবসরপ্রাপ্ত ডিরেক্টর শিখেন্দ্র দে’র কথায়, ‘দিল্লির মাটি পাথুরে হওয়ায় ভূগর্ভে তৈরি হওয়া কম্পন প্রতিহত করতে তা অনেকটা সহায়ক হয়েছে। কিন্তু কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় ভূগর্ভের মাটি পাথুরে নয়। পলি ও বালির পরিমাণ বেশি। তাই ভূমিকম্প হলে ক্ষতির আশঙ্কা বেশি থাকবে। কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় ৪-৫ মাত্রার ভূমিকম্পের এপিসেন্টার হলেই বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।’ অতীত ঘেঁটে বিশেষজ্ঞরা জেনেছেন, অষ্টাদশ শতাব্দীতে দিল্লিতে সম্ভবত ৬ তীব্রতার ভূমিকম্প হয়েছিল। কলকাতার ইতিহাসে অবশ্য বড় ধরনের ভূমিকম্পের সেরকম নজির নেই। তবে সেই আশঙ্কা যে নেই, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা। তাই সতর্ক থাকা এবং বহুতল নির্মাণের সময় ভুমিকম্প প্রতিরোধী ব্যবস্থা রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেশের হিমালয় ও সংলগ্ন এলাকায় ভূমিকম্পের প্রবণতা বেশি। এসব এলাকা ৫ নম্বর ‘সিসমিক জোন’-এ অবস্থিত। উত্তরাখণ্ড, কাশ্মীর, অসম সহ উত্তর-পূর্ব ভারত, সিকিম, অসম, নেপাল ৫ নম্বর জোনে অবস্থিত। গুজরাতের কিছু অংশও এই জোনে পড়ে। ভূগর্ভে যুগ যুগ ধরে ইউরেশিয়ান ও ইন্ডিয়ান প্লেটের সংঘাতের জেরেই এসব এলাকা বেশি ভূমিকম্প প্রবণ। এই সংঘাতের পরোক্ষ প্রভাবেই পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের অনেক জায়গায় ভূগর্ভে ফাটল বা চ্যুতি তৈরি হয়েছে। সেখানেও সংঘাতের প্রক্রিয়া চলার জন্য ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানাচ্ছেন ভূ-বিশেষজ্ঞরা।