বিমা প্রভূতক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। গৃহ সংস্কার বা ক্রয়ের প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যেতে পারেন। শরীরের ... বিশদ
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সদর শহর বারাসতে বাম আমলে তৈরি হয়েছিল ‘বিদ্যাসাগর ক্রীড়াঙ্গণ।’ তৈরির পর তা জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে ছিল। পরে স্টেডিয়ামটি আইএফএ-কে হস্তান্তর করা হয়। স্টেডিয়ামে আইলিগ বা কলকাতা লিগের মতো বড় বড় টুর্নামেন্ট হতো। মাঠটিতে আইএফএ কৃত্রিম ঘাস বা অ্যাস্ট্রোটার্ফ বসায়। কিন্তু সেই কৃত্রিম ঘাসের উপর খেলতে নারাজ ছিলেন খেলোয়াড়রা। ফলে সেটি বন্ধ হয়ে পড়েছিল। এই অবস্থায় ক্রীড়াঙ্গণ পরিদর্শনে আসেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। মাঠ পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, পুরোপুরি তুলে ফেলা হবে অ্যাস্ট্রোটার্ফ। প্রাকৃতিক ঘাস দিয়ে মাঠটিকে খেলার উপযোগী করে তোলা হবে। পাশাপাশি স্টেডিয়ামকে খেলার উপযোগী করার জন্য নয়া কমিটিও গঠন করেন ক্রীড়ামন্ত্রী।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মাঠটি বর্তমানে জেলা পরিষদের আওতায় রয়েছে। সেটিকে খেলার উপযোগী করার জন্য মোট ৮২ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে। এর মধ্যে ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছেন বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার। বাকি টাকা জেলা পরিষদেরই। প্রথমে কৃত্রিম ঘাস তুলে ফেলা হয়েছে। তারপর মাটি তৈরি করে তাতে স্বাভাবিক ঘাস বসানো হয়েছে। উন্নত প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে কৃত্রিম ঘাস সরিয়ে স্বাভাবিক ঘাস দিয়ে তৈরি হচ্ছে স্টেডিয়াম। এ নিয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী বলেন, ৮২ লক্ষ টাকা ব্যয় করে বিদ্যাসাগর স্টেডিয়ামকে খেলার উপযোগী করা হচ্ছে। চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। আশা করি চলতি বছরেই স্টেডিয়ামে আগের মতো বড় টুর্নামেন্ট করা যাবে।
খেলোয়াড় নটরাজ দাস, শরিফুল আলিরা বলেন, এই মাঠ বারাসতের গর্ব। কিন্তু ঘাসের জন্য এখানে দীর্ঘদিন খেলা বন্ধ। এখন কাজ হচ্ছে। আমরাও চাই দ্রুত মাঠটি খেলার উপযোগী করে তোলা হোক।-নিজস্ব চিত্র