মাতুলের থেকে বিত্তলাভ হতে পারে। কোনও বিষয়ের মানসিক উদ্বেগ কমবে। বিদ্যাচর্চায় বিশেষ শুভ। ... বিশদ
৯ জুন সন্ধ্যায় বারাসতের কাজিপাড়ার বড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় ১১ বছরের এক বালক। পরিবারের তরফে অভিযোগ জানানো হয় বারাসত থানায়। পুলিস তদন্ত শুরু করে। কিন্তু মূল অভিযুক্তকে ধরতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় পুলিসকে। অবশেষে ১৮ জুন মৃত কিশোরের জেঠু ইনজার নবিকে গ্রেপ্তার করে বারাসত থানার পুলিস। তাকে দফায় দফায় জেরার সময় ভাইপোকে খুনের কথা স্বীকার করে নেয় সে। পুলিস সূত্রে দাবি, ইনজার জানিয়েছে যে পারিবারিক বিবাদের কারণেই সে তার ভাইপোকে খুন করেছে। ৯ তারিখ রাতে ভাইপোকে একা পেয়ে সে প্রথমে তার ঘাড়ে সজোরে আঘাত করে। সে জ্ঞান হারালে তাকে কাঁধে করে তুলে নিয়ে যায় পাশ্ববর্তী একটি পুকুরের কাছে। তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ভাইপোর গলায় ফাঁস লাগিয়ে দেয় সে। তারপর দেহ টানতে টানতে নিয়ে যায় পরিত্যক্ত একটি শৌচাগারে। ১৩ জুন সেখান থেকে দেহ উদ্ধারের পর তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিসকে বিভ্রান্ত করে নিজেকে বাঁচাতে ইনজারই ছেলেধরা ও অঙ্গ পাচারের গুজব রটাতে শুরু করে। পুলিসের দাবি, বালক নিখোঁজ হওয়ার দিনই সন্ধ্যা ৬টা ৫০ থেকে সাড়ে ৭টার মধ্যে খুন করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রের খবর, যেদিন থেকে ভাইপো নিখোঁজ ছিল, সেদিন থেকেই নিজের বাড়িতে দেখা যায়নি ইনজারকে। মৃত বালকের বাবা বলেন, ‘দাদার সব সম্পত্তি বিক্রি হয়ে গিয়েছে। সামান্য টাকা নিয়ে ঝামেলার জন্য এভাবে নিজের ভাইপোকে মেরে ফেলবে, ভাবাই যায় না। আমার ছেলেকে যেভাবে কষ্ট দিয়ে মেরে ফেলা হল, ওকেও তেমনভাবেই কষ্ট দেওয়া হোক। ও ছাড়া পেলে আবার একই ঘটনা ঘটাবে।’ কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। মৃত বালকের পিসি হোসনেহানা বেগম বলেন, ‘আমি এখন শুনছি, আমার বাড়ি থেকে কাপড় নিয়ে গিয়ে ভাইপোকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ও যখন এসে কাপড় নিয়ে গিয়েছিল, তখন আমি বাড়িতে ছিলাম না।’ বারাসত পুলিস জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার স্পর্শ নীলাঙ্গি বলেন, ‘ইনজার একাই গোটা ঘটনাটি ঘটিয়েছে। গুজব ছড়িয়ে নিজেকে বাঁচানোর উদ্দেশ্য ছিল। ধৃতের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’