মাতুলের থেকে বিত্তলাভ হতে পারে। কোনও বিষয়ের মানসিক উদ্বেগ কমবে। বিদ্যাচর্চায় বিশেষ শুভ। ... বিশদ
পুরসভার তথ্য বলছে, শহরে ২০১৫ সালে একটি হকার সমীক্ষা হয়েছিল। তখন শহরের হকারদের আবেদন জমা নেওয়া হয়। সেই সময়ের আবেদন জমা করার নিরিখে প্রশাসনের হাতে থাকা শহরের হকার সংখ্যা ৫৯ হাজার। গত বছর দুয়েক আগে শহরে তৈরি হয় টাউন ভেন্ডিং কমিটি। তখন সেই কমিটি শহরে পুরনো ৫৯ হাজারের হকারের তালিকা নিয়ে ফের সার্ভে করতে নামে। সেখানে তাক লাগানোর মতো তথ্য উঠে আসে। গড়িয়াহাট, হাতিবাগান ও নিউ মার্কেট মিলিয়ে পুরনো তালিকার মধ্যে থাকা মাত্র ১৬ জন হকারকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। তাঁদের দেওয়া হয় ভেন্ডিং সার্টিফিকেট বা হকার শংসাপত্র। কিন্তু, সেটাই ছিল শুরু। এবং আপাতত সেটাই শেষ! কারণ, পুরসভার দেওয়া তথ্য বলছে, গত এক বছরে ওই ক’জনকে ছাড়া আর কাউকে ভেন্ডিং সার্টিফিকেট বিলি করা হয়নি। আবেদন জমা পড়েছে ঠিকই। কিন্তু, নানা জটিলতায় সেটা দেওয়া যায়নি। গড়িয়াহাটে হকার স্টলগুলিকে নয়া রূপ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, নিউ মার্কেট বা হাতিবাগানের অবস্থা তথৈবচ। উল্টে দখলদারি বেড়েছে হাতিবাগান বা নিউ মার্কেটে। এসব নিয়েই এদিন পুলিস ও পুরসভাকে কড়া ভাষায় ভৎর্সনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, হাতিবাগান, নিউ মার্কেট, গড়িয়াহাটের অবস্থা দেখেছ! চোখে দেখা যায় না। নতুন করে কোনও হকার যাতে না বসে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সব জায়গায় যেখানে সেখানে হকার বসিয়ে পুলিস টাকা তুলছে। বাকিরাও টাকা খাচ্ছে। ফুটপাত দখল হয়ে যাচ্ছে। কারও নজর নেই।
পুলিস প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে হকার নেতা অসিত সাহা বলেন, তিনি যা বলেছেন, আমরা সমর্থন জানাচ্ছি। পুলিস যে পরিমাণ টাকা বছরে হকারদের থেকে তোলে, তা অকল্পনীয়। টাকা নিয়ে হকার বসিয়ে দিচ্ছে। আমরা আরও সমস্যার কথা মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব।