পারিবারিক ক্ষেত্রে কলহের আশঙ্কা। ঠান্ডা মাথায় চলুন। বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিকদের শুভ সময়। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সল্টলেক সিটি সেন্টারের ভিতরে বেশ কয়েকমাস যাবৎ ওই অফিস চালু ছিল। বহু মানুষ নিজেরা প্ল্যান না করে কোনও ট্যুর অপারেটরের মাধ্যমে বেড়াতে যান। এই ধরনের ‘আর্কষণীয় প্যাকেজ’ দেখে সহজেই ফাঁদে পা দিয়েছেন তাঁরা। অভিযোগকারীরা পুলিসকে জানিয়েছেন, ওই অফিসে গেলে নানা ধরনের প্যাকেজ দেখানো হতো। সেইমতো বুক করলে দেওয়া হতো একটি গিফট ভাউচারের ছাপা সার্টিফিকেট। যিনি বুকিং করেছেন তাঁর নাম লেখা থাকত ওই তাতে। ওই ভাউচার দিয়ে দেশের কোন কোন জায়গায় বেড়াতে যাওয়া যাবে, দেওয়া থাকত তার তালিকাও। সংস্থাটির দাবি অনুযায়ী, গিফট ভাউচারগুলি ‘ভ্যালিড’ ছিল ২০২৮ সাল পর্যন্ত। অর্থাৎ, তাড়াহুড়োর কোনও দরকার নেই। ইচ্ছে হলেই হল, যেকোনও দিন যেতে পারবেন গ্রাহক। সবাই ভেবে নিলেন, এ তো দুর্লভ সুযোগ, আর কোথায় পাওয়া যাবে!
যাঁরা ৩১ হাজার টাকার গিফট ভাউচার কিনেছিলেন, তাঁদের গোয়া, মানালি, বেঙ্গালুরু, দার্জিলিং, পুরী এবং মন্দারমণি—এই ছ’টি জায়গায় বেড়ানোর জন্য তালিকা দেওয়া হয়েছিল। কীভাবে বিষয়টি সামনে এল? এক ব্যক্তি গিফট ভাউচার কিনেছিলেন। বেড়াতে যাবেন বলে ফোন করে দেখেন, কেউ ফোন ধরছে না! তিনি সোজা সিটি সেন্টারে ওই অফিসে চলে যান। গিয়ে দেখেন, তালা ঝুলছে! তারপরই তিনি পুলিসের দ্বারস্থ হন। পুলিস জানিয়েছে, তদন্তে জানা গিয়েছে, গিফট ভাউচারের নামে একটি প্রতারণা চক্র চলছিল। লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা করে তারা পালিয়েছে। ৩১ হাজার টাকার প্যাকেজের পাশাপাশি, অনেকের কাছ থেকে আরও বেশি টাকা নেওয়ার অভিযোগ পুলিস পেয়েছে। এই চক্রের সদস্যরা অন্য রাজ্য থেকে এসে জুটেছিল। চক্রটি দেশজুড়েই সক্রিয়। এই ঘটনার তদন্ত চলছে। অভিযুক্তদের শীঘ্রই গ্রেপ্তার করার ব্যাপারে আশাবাদী পুলিস।