পারিবারিক ক্ষেত্রে কলহের আশঙ্কা। ঠান্ডা মাথায় চলুন। বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিকদের শুভ সময়। ... বিশদ
এনিয়ে কমিশনার বলেন, ওই শিশুর মৃতদেহটি খাল থেকে পাওয়া গিয়েছে। দেহটি ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। এ নিয়ে এখনও কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। তবে মৃতার পরিবার ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে গোটা বিষয়টি পরিষ্কার হবে। এদিন শিশুকন্যার মৃতদেহ শনাক্ত করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন আরাধ্যার বাবা ভিকি রাম। তিনি বলেন, হাসিখুশি মেয়েটা মঙ্গলবার বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। এভাবে নিথর হয়ে ফিরবে, ভাবতে পারছি না। কী করে এমনটা হল, বুঝতে পারছি না। এদিকে, মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে খাওয়াদাওয়া ছেড়েছিলেন আরাধ্যার মা মণীষা রাম। এদিন মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকে তিনি বারবার জ্ঞান হারিয়েছেন। ভদ্রেশ্বরের সাহেববাগান এলাকাতেও শোকের ছায়া নেমেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, শিশুটি কোনওভাবে সাহেববাগানের খালে পড়ে গিয়ে হয়তো ভেসে গিয়েছে। কেউ কেউ আবার এর পিছনে রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন। খালটি ওই শিশুর আত্মীয়ের বাড়ির খুব কাছে নয়। তাছাড়া শিশুর মৃতদেহে আঘাতের চিহ্ন আছে। ফলে, নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুলেছেন সাহেববাগানের অনেক বাসিন্দা।
আরাধ্যা থাকত বাবা ও মায়ের সঙ্গে বৈদ্যবাটিতে। তার বাবা পেশায় জুটমিলের কর্মী। আরাধ্যার দাদুর বাড়ি ভদ্রেশ্বরের সাহেববাগানে। তার মা মণীষা রাম বাপের বাড়ির কাছে বিউটিশিয়ান কোর্সে ভর্তি হয়েছিলেন। সেই ট্রেনিং সেন্টারে যাওয়ার জন্যই তিনি মেয়েকে নিয়ে মঙ্গলবার বাপের বাড়ি এসেছিলেন। আরাধ্যা দাদুর বাড়িতে এলে প্রতিবেশী এক তরুণীর সঙ্গে খেলত। মঙ্গলবার বিকেলে সেই বাড়ির দরজা পর্যন্ত মেয়েকে ছেড়ে দিয়ে ট্রেনিংয়ে যান মণীষা। আরাধ্যার পরিবার জানিয়েছে, মেয়ে বাড়িতে ঢুকে পড়বে ভেবেই মনীষা সেখান থেকে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু রাতে বাড়ি ফিরে তিনি জানতে পারেন, ওই বাড়িতে মেয়ে যায়নি। তারপর থেকেই খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। ভদ্রেশ্বর থানার পুলিস ড্রোন উড়িয়ে বুধবার তল্লাশি চালালেও আরাধ্যার খোঁজ পায়নি। বৃহস্পতিবার পুলিস কমিশনার নিজে যখন ভদ্রেশ্বরে গিয়ে তদন্ত করছেন, তখনই খবর আসে ঘুঙির খালে একটি শিশুর মৃতদেহ মিলেছে। পরে ভিকি রাম সেই দেহটি নিজের মেয়ে বলে শনাক্ত করেন।