সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
এদিন দমদম লোকসভা কেন্দ্রের খড়দহ এবং পানিহাটিতে নির্বাচনী জনসভা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুই জায়গাতেই দমদমের তৃণমূল প্রার্থী বলেন, ‘আমি বয়সে প্রবীণ। আমাকে যোগ্য ভেবেছেন বলেই হয়তো এবারও লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এটাই আমার শেষ নির্বাচন। আর নির্বাচনে দাঁড়াব না। আপনারা শেষ নির্বাচনে আমাকে জয়ী করবেন তো? আমাকে ভোট দেবেন তো?’
সৌগতবাবুর বয়স এখন প্রায় ৭৭। ২০০৯, ২০১৪, ২০১৯—পরপর তিনবার দমদম লোকসভা কেন্দ্র থেকে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। এবার জিতলে এই কেন্দ্র থেকে চতুর্থবারের জন্য জয়ী হবেন তিনি। সংসদে ১৯৫টি বক্তৃতা করা, ৩৫০টির উপর প্রশ্ন করা হয়ে গিয়েছে বলে নিজেই জানিয়েছেন তিনি। এবারের লোকসভা নির্বাচনেও তাঁকে প্রার্থী করার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তৃণমূল নেত্রীর প্রতি।
প্রসঙ্গত, সৌগত রায়ের থেকে বয়সে প্রবীণ রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বয়স ৮০ বছর। সৌগতর সমসাময়িক সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সাধারণত মমতা প্রার্থীদের হাত তুলে ধরে সাধারণ মানুষের কাছে ভোট-প্রার্থনা করেন। কিন্তু এদিনের সভায় মমতা সৌগতের পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘উনি এত সিনিয়র যে ওঁর হাত তুলে ধরব কেন! আপনি আমার প্রণাম নেবেন। সৌগতদা আজীবন সবুজ। এত কাজ করেন তিনি। বিয়ে বাড়িতেও যান, পৈতে বাড়িতেও যান। আবার পুজোতেও যান। কোনও কিছু ছাড়েন না। অজিত পাঁজার পর সৌগত রায়, প্রত্যেকটা বাড়ি বাড়ি যান।’ মমতার আরও বক্তব্য, ‘আমি যখন তাঁকে প্রার্থী হওয়ার কথা বলেছিলাম, তিনি হ্যাঁ বলেছিলেন। তখনই আমি নিশ্চিত হয়েছিলাম, এবারেও সংসদে গিয়ে ঝড় তুলবেন তিনি।’
এদিন মঞ্চের প্রবীণ রাজনীতিবিদদের খুনসুটির ছবিও ধরা পড়েছে। মমতা একসময় বলেন, ‘এখন সৌগত দা সবার আগে...।’ পাশে বসা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় তখন বলে ওঠেন, ‘আমি আগে, কারণ আমি তো বয়সে ওঁর থেকে বড়।’ এসবরে মধ্যে ভরা সভায় সৌগতবাবুকে যখন জেতানোর আবেদন করছেন মমতা, তখন দু’টি জনসভা থেকেই
হাজার হাজার মানুষ হাত তুলে প্রত্যুত্তর দিয়েছেন।