উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
পুরসভা সূত্রের খবর, শহরের পুরস্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ১৮,১০০। সেক্ষেত্রে গতবছর করোনাকালে মিড ডে মিলে রান্না খাবারের বদলে সমপরিমাণ কাঁচামাল প্রতিমাসে পড়ুয়াদের হাতে তুলে দেওয়া শুরু হয়। রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী দেওয়া হয়—২ কেজি চাল, ১ কেজি আলু, ১ কেজি ছোলা, ৫০০ গ্রাম চিনি, ২৫০ গ্রাম মুসুর ডাল, ২৫০ গ্রাম সয়াবিন এবং একটি সাবান। প্রথম দিকে কয়েক মাস সাবানের পরিবর্তে স্যানিটাইজার দেওয়া হচ্ছিল। মূলত স্কুলশিক্ষকরা অভিভাবকদের হাতে এই প্যাকেজ তুলে দেন। মাসিক খরচ আনুমানিক ৪ লাখ ২৭ হাজার টাকার কিছু বেশি। কিন্তু রাজ্য সরকারের কাছ থেকে টাকা এলেও নানা জটিলতার কারণে গত দু’মাস ধরে সেই প্যাকেজ বাচ্চাদের দেওয়া যায়নি বলেই শিক্ষাবিভাগ সূত্রের খবর।
কারণ হিসেবে আধিকারিকদের ব্যাখ্যা, বর্তমানে শিক্ষকদের করোনার বিভিন্ন কাজে লাগানো হচ্ছে। কখনও বাড়ি বাড়ি স্বাস্থ্য সমীক্ষার কাজ বা ডেটা বেস তৈরির কাজে তাঁরা হাত লাগিয়েছেন। ফলে পড়ুয়াদের মিড ডে মিল দিতে হলে প্রয়োজন মতো শিক্ষক জোগাড় করা যায়নি। তাই মূলত এই অসুবিধা হয়েছে। যদিও কয়েকজন শিক্ষককে কাজে লাগিয়ে এই প্রক্রিয়া আর কিছু দিনের মধ্যেই শুরু হবে বলেই জানিয়েছেন শিক্ষা বিভাগের আধিকারিকরা। এই প্রসঙ্গে পুরসভার শিক্ষা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, চিন্তার কোনও বিষয় নেই। মিড ডে মিলের প্যাকেজ আমরা দেব। কেউ বঞ্চিত হবে না। আগামী দিন কয়েকের মধ্যেই অর্ডার জারি হবে।
যদিও শিক্ষা বিভাগ সূত্রের খবর, মাস দুয়েকের প্যাকেজ একসঙ্গে দেওয়া হবে না। চলতি মাসের শেষে মে মাসের প্যাকেজ দেওয়া হবে। তারপর সম্ভবত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে জুনের প্যাকেজ দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে জুলাইয়ের প্যাকেজ কবে মিলবে তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। যদিও আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে জুনের এবং জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে জুলাই মাসের প্রাপ্য প্যাকেজ দেওয়ার চেষ্টা চলছে।