নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পাঁচ দিন হয়ে গেল। এখনও জলমগ্ন বেহালার বেশ কয়েকটি এলাকা। মূলত পশ্চিম বেহালার বিভিন্ন এলাকায় জল নামেনি। স্বাভাবিকভাবেই ভোগান্তির মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে সেখানকার বাসিন্দাদের। আর গোদের উপর বিষফোঁড়া, বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকা। বেহালার বিভিন্ন অঞ্চলে গত ৯০ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ না থাকার অভিযোগ করেছেন বাসিন্দারা। এই প্রসঙ্গে সিইএসসি জানিয়েছে, যেসব জায়গায় জল বিপদসীমার নীচে নেমে গিয়েছে, সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ ফের দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যেখানে যেখানে জল এখনও বিপদসীমার উপরে, সেখানে সংযোগ দেওয়া হয়নি। রবীন্দ্রনগর, নবপল্লি সহ বেহালার যেসব এলাকায় জল এখনও বিপদসীমার উপরে, সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি। এই পরিস্থিতিতে সোমবার বেহালা সহ শহরের সামগ্রিক নিকাশি নিয়ে বৈঠক করেন কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। পাশাপাশি, রাজ্য সেচদপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বেহালা অঞ্চলের একাধিক খাল পরিদর্শন করেন কলকাতা পুরসভার কমিশনার বিনোদকুমার সহ পুর-আধিকারিকরা। সিপিটি ক্যানেল, মণিখাল ও পর্ণশ্রী খালের অবস্থা খতিয়ে দেখা হয়। এদিকে পুরসভা সূত্রে খবর, বুধবার মণিখাল অঞ্চল পরিদর্শনে যাবেন ফিরহাদ হাকিম। সেখানে রেলের ব্রিজ এবং তার নীচে খালের সংলগ্ন অঞ্চলে রেলের তরফেই সাফাইয়ের কাজ ভালোভাবে না হওয়ায় সমস্যা বাড়ছে বলে অভিযোগ।
গত ১৭ জুন রাতে ভারী বৃষ্টির পর থেকেই শহরের একাধিক এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বিশেষ করে দক্ষিণ, পূর্ব ও বেহালার দিকে জল গত কয়েক দিন ধরেই দাঁড়িয়ে। তার মধ্যে অন্যান্য এলাকা থেকে জল নেমে গেলেও পশ্চিম বেহালার কিছু অঞ্চলে এখনও জল জমে। মূলত ১২৯, ১২৮ এবং ১৩১ নম্বর ওয়ার্ড— পর্ণশ্রী, নবপল্লি, বেলেডাঙা, ১২ ফিট, ১৬ ফিট, এস এস পল্লি তৃতীয় লেন, পারুই দাসপাড়া, কালীপুর, বেনিমাস্টার, সাঁতরাপাড়া, গুলেপাড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় জল কোথাও হাঁটু, কোথাও আবার গোঁড়ালি সমান। বাড়ি বাড়ি জল ঢুকে আছে। যাতায়াতে অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে সেখানকার বাসিন্দাদের।