উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
গত ১৭ জুন রাতে প্রবল বৃষ্টির মধ্যে হরিদেবপুর থানার নবপল্লিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান মানিক বারুই নামে এক ব্যক্তি। এই ঘটনার পর প্রাথমিকভাবে নজরে আসে, দুর্ঘটনাস্থলে লো টেনশেন ওভারহেড তারের দু’টি কন্ডাক্টর ভাঙা ছিল। বণ্টন সংস্থার ডিস্ট্রিবিউশন বিভাগের চিফ ইঞ্জিনিয়ার সুমিত মুখোপাধ্যায় এবং ডিরেক্টর পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁরা দেখেন, ওভারহেড তারের রক্ষণাবেক্ষণে গাফিলতি থাকার কারণেই ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এমনকী মৃত্যুর ঘটনাটি যথাযথ সময়ে সদর দপ্তরে জানানোও হয়নি। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মুত্যুর ঘটনা অত্যন্ত সংবেদনশীল হওয়া সত্ত্বেও বিষয়টিকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। বণ্টন সংস্থার কর্তাদের বক্তব্য, বিদ্যুতের তার ও যন্ত্রাংশের বিষয়ে পৈলান কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের স্টেশন ম্যানেজার অভ্রজ্যোতি বড়ুয়ার আরও বেশি সচেতন ও উদ্যোগী হওয়ার দরকার ছিল। অথচ তিনি সেই কর্তব্য পালন করেননি। সেই কারণেই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আর বেহালা ডিভিশনের ডিভিশনাল ম্যানেজার বিশ্বজিৎ বাগদি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা রিজিওনের রিজিওনাল ম্যানেজার নারায়ণচন্দ্র রায়ের তরফে যেভাবে রক্ষণাবেক্ষণের তদারকি করার দরকার ছিল, সেখানেও গাফিলতি আছে। এই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ করলে মৃত্যুর ঘটনাটি এড়ানো যেত, এমনটাই মনে করছেন দপ্তরের কর্তারা। চিফ ইঞ্জিনিয়ার এবং ডিরেক্টরের পাশাপাশি বণ্টন সংস্থার সিএমডি শান্তনু বসুকে নিয়ে যে তদন্ত কমিটি গড়েছিলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, সেই তদন্তের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অনদিকে, গত ১৮ জুন পাটুলি থানার বিপি টাউনশিপে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান সুজয় মণ্ডল নামে এক যুবক। ওই এলাকাটি সিইএসসি’র আওতায় থাকায় তাদের থেকে রিপোর্ট চায় বিদ্যুৎ দপ্তর। দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব সুরেশ কুমার জানিয়েছেন, সিইএসসি একটি প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেয়। কিন্তু বিদ্যুৎ দপ্তর যাতে ওই ঘটনার তদন্ত করতে পারে, তার জন্য আইন মেনে সিইএসসি’র তরফে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে বিদ্যুৎ দপ্তরের কাছে। সেই আবেদনপত্র যাতে তারা দ্রুত জমা দেয়, তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কীভাবে ওই যুবকের মুত্যু হল, তা দপ্তরের তদন্তের পরই জানা যাবে, জানিয়েছেন সুরেশ কমার।