উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনায় এক বন্ধুর বোনের বাড়িতে কার্যত গা-ঢাকা দিয়ছিলেন গোবিন্দবাবু। তাঁর বিরুদ্ধে ৪০৯ এবং ৪২০ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। এদিন হাওড়া সিটি পুলিসের ডিসি (নর্থ) অনুপম সিং বলেন, ওঁর নামে অনেকগুলি প্রতারণার মামলা রয়েছে। অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি, সরকারি টাকাও নয়ছয় করেছেন বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, গোবিন্দবাবুর বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ এবং প্রতারণার মামলা করেছিলেন জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বর্তমান উপপ্রধান সোনামণি কর্মকার। এই গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে ওই পঞ্চায়েতের বর্তমান প্রধান যমুনা কয়াল বলেন, প্রধান থাকাকালীন গোবিন্দ হাজরা পঞ্চায়েতের সি সি টিভি ক্যামেরা, ল্যাপটপ চুরি করেছেন। এমনকী পঞ্চায়েতের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও লোপাট করেছেন। কিন্তু তখন তো আপনারা একই দল তৃণমূল কংগ্রেস করতেন? তিনি বলেন, তখন আমরা অনেক কিছুই জানতে পারিনি। পঞ্চায়েতের সদস্যরা কেউ কেউ বিষয়গুলি জানলেও ওঁর ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারেননি। উনি দল ছাড়ার পর এখন সবকিছু সামনে আসছে।
এ প্রসঙ্গে হাওড়া সদর জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, আমাদের দলে দুর্নীতির কোনও জায়গা নেই। দুর্নীতিগ্রস্ত কেউ কী পদে ছিলেন বা কী পদে আছেন, তা না দেখেই আইন আইনের পথে চলবে। তবে জেলা বিজেপি সভাপতি সুরজিৎ সাহার অভিযোগ, তৃণমূল ছেড়ে যাঁরা বিজেপিতে এসেছেন, তাঁদের প্রত্যেককে এখন ভুয়ো অভিযোগে ফাঁসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটাও তাই। দল রাজনৈতিকভাবেই এর মোকাবিলা করবে। এদিকে, এদিন আদালত থেকে পুলিস হেফাজতে যাওয়ার সময় ধৃত বলেন, যা বলার, আদালতেই বলব। প্রসঙ্গত, বিভিন্ন সময় বিরোধী রাজনীতির সমর্থকদের উপর অকথ্য অত্যাচার, দোকানপাট, জীবিকা লাটে তুলে দেওয়ার মতো অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা এখন দাবি করছেন, গোবিন্দবাবু বিজেপিতে যেতেই এলাকায় গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে এসেছে।