নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, কলকাতায় বাতাসের গুণগতমান অত্যন্ত খারাপ। কারণ কয়লার বহুল ব্যবহার। অবাঞ্ছিত ব্যবহার রুখতে পর্ষদের উদ্যোগে কয়লা ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীদের বিনামূল্যে গ্যাসের ওভেন এবং গ্যাস চালিত ইস্ত্রি দেওয়া শুরু হয়। লেকটাউন এবং সল্টলেক এলাকার বেশকিছু ব্যবসায়ীকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্যাস দেওয়া হয়। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র, স্থানীয় বিধায়ক সুজিত বসু এবং পুলিস আধিকারিকরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। পর্ষদের তরফে ঘোষণা করা হয়, প্রত্যেকটি থানা স্থানীয় এলাকার কয়লা ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীদের একটি বিস্তারিত তালিকা তৈরি করবে। সেই তালিকা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট থানার উদ্যোগে তাঁদের হাতে গ্যাস পৌঁছে যাবে।
ঘোষণার পর প্রায় দু’মাস পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও গ্যাস চালিত ইস্ত্রি পৌঁছয়নি ব্যবসায়ীদের কাছে। রমরমিয়ে চলছে কয়লার ব্যবহার। সঙ্গে বাড়ছে দূষণ। ব্যবসায়ীদের
সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, তাঁদের কাছে স্থানীয় থানার পুলিশকর্মীরা নাম, ফোন নম্বর ইত্যাদি নিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু তারপর আর কোনও কাজ হয়নি। বিধাননগর উত্তর থানা এলাকার ইস্ত্রি ব্যবসায়ী মনোজ চৌধুরী। সিবি ব্লকের অন্তর্গত পিএনটি আবাসনের ৫ নম্বর গেট সংলগ্ন ফুটপাতে বছর ৩০ ধরে তাঁর ইস্ত্রি ব্যবসা। ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, প্রতিদিন যে পরিমাণ জামাকাপড় তাঁর কাছে আসে তা ইস্ত্রি করতে প্রায় ৫ কেজি কয়লা পোড়াতে হয়। অর্থাৎ, তিনি মাসে প্রায় দেড়শো কেজি কয়লা পোড়ান। ফলে সেখান থেকে মাত্রাতিরিক্ত দূষণের সৃষ্টি হচ্ছে। মনোজ বলেন, মাস দুই আগে থানার কর্মীরা এসে জানান আর কয়লা ব্যবহার করা যাবে না। তার বদলে বিনামূল্যে দেওয়া হবে গ্যাস ইস্ত্রি। তবে আদৌ তা হয়নি। ‘কবে আমাদের দেওয়া হবে?’—প্রশ্ন করেন ব্যবসায়ীর।
কয়লা ব্যবহারকারী আর এক ইস্ত্রি ব্যবসায়ী মহম্মদ ইসলাম। তাঁর দাবি, ‘আমরাও কয়লার ব্যবহার বন্ধ করতে। কারণ যে পরিমাণ ধোঁয়া হয়, তাতে সবচেয়ে বেশি শারীরিক ক্ষতি আমাদেরই চাই। তবে থানার তরফে এখনও যোগাযোগ করা হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘গ্যাসের বদলে যদি সরকার কোনওভাবে ইলেকট্রিক মিটারের ব্যবস্থা করে তাহলে আরও ভালো হয়। তার জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র দেব।’ তবে যেখানে পর্ষদের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে থানার উদ্যোগে এই গ্যাস পৌঁছে দেওয়া হবে, সেক্ষেত্রে কাজে দেরি হচ্ছে কেন? প্রশ্ন বিধাননগরের একাধিক ইস্ত্রি ব্যবসায়ীর। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, পুলিসের ডেপুটি কমিশনার (সদর) সূর্য প্রতাপ যাদবের প্রতিক্রিয়া, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। এই সম্পর্কে এখনই আমার কাছে কোনও তথ্য নেই।’