নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
গত বৃহস্পতিবার, কুঁদঘাটে ম্যানহোলে নেমে কাজ করতে গিয়ে ৪ জন শ্রমিক মারা যান। স্বাভাবিকভাবেই যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। প্রশ্ন উঠেছিল, কোনওরকম নিরাপত্তা বর্ম ছাড়া কীভাবে ম্যানহোলে নেমে শ্রমিকরা কাজ করছেন। কীভাবে নোংরা জল এবং বিষাক্ত গ্যাস বার না করেই ম্যানহোলে শ্রমিককে নামার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ঠিকাদারি সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই মৃত চার শ্রমিক পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করেছে পুর কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি এই ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গড়ে প্রকৃত সত্য উদঘাটনের জন্য তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। এক সপ্তাহের মধ্যে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সেই রিপোর্ট পুর কমিশনার বিনোদ কুমারের কাছে জমা করার কথা ছিল। কিন্তু সেই রিপোর্ট এদিন জমা দেওয়া সম্ভব হয়নি। বিশেষ কমিশনার সোমনাথ দে’র নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটি আরও বেশ কয়েক দিন বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সময় চেয়েছেন। সূত্রের খবর, আরও সপ্তাহ খানেক সময় চাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে একাধিক মিটিং করেছে কমিটি। ঠিকাদারি সংস্থা এবং উপদেষ্টা সংস্থা দু’তরফ থেকেই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। দু’টি সংস্থার থেকেই ব্যাখ্যা চেয়েছে তদন্ত কমিটি। একাধিক প্রশ্ন করা হয়েছে সংস্থা দু’টিকে।
বেশ কিছু অসঙ্গতিও নজরে পড়েছে বলে সূত্রের খবর। সেই সঙ্গে আরও একটি গুরুতর অভিযোগ রয়েছে ঠিকাদারি সংস্থার বিরুদ্ধে। শ্রমিকদের পিএফ এবং ইএসআইএর কোনও ব্যবস্থা ছিল না বলে অভিযোগ। এই বিষয়টি নিয়েও পুর কর্তৃপক্ষ সংস্থাকে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। যাতে পুরসভার ওপর দায় না চাপে। কোনও গাফিলতি থাকলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেই সূত্রের খবর।