রাতের শহর। এক মহিলা যাত্রীকে নিয়ে একটি অ্যাপ ক্যাব ছুটছিল শহরের রাজপথ দিয়ে। হঠাৎই আর একটি অ্যাপ ক্যাব তাঁদের ওভারটেক করে একেবারে ফিল্মি কায়দায় পথ আটকে দাঁড়াল। আর তারপরই সেই গাড়ি থেকে নেমে কয়েকজন যুবক অন্য ক্যাবটির চালককে বেধরক মারধর করা শুরু করল। ভাঙচুর চালান হল গাড়িটিতেও।
নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যায়ভাবে অটোর চাকায় কাঁটা লাগানো এবং জরিমানা আদায়ের অভিযোগ তুলে বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ সমস্ত অটো পরিষেবা বন্ধ করে দেন চালকরা। এর পাশাপাশি এই অভিযোগের প্রতিবাদে দক্ষিণ দমদম পুরসভার সামনে রাস্তা অবরোধও করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দমদম থানার পুলিস। এদিকে, অফিস টাইমে প্রায় এক ঘণ্টার কাছাকাছি অটো চলাচল বন্ধ থাকে। যার জেরে ভোগান্তির শিকার হন নিত্যযাত্রীরা। অফিস টাইমে পরিষেবা বন্ধ রাখা ও অবরোধের সিদ্ধান্তে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন যাত্রীরা। কারণ নাগেরবাজার থেকে দমদমের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন পর্যন্ত এই রুটের উপর নির্ভরশীল কয়েক হাজার মানুষ।
অন্যদিকে, পরে সমস্যা সমাধানে অটো চালকদের একটি প্রতিনিধি দলকে পুরসভায় বৈঠকে ডাকা হয়। ত্রিপাক্ষিক এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অটোচালকদের প্রতিনিধি দল, পুরসভার মুখ্য প্রশাসক পাচু রায়, প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য প্রবীর পাল এবং দমদম থানার আইসি। সেই বৈঠকে পুলিসের তরফে জানানো হয়, যত্রতত্ৰ পার্কিং এবং যেখানে সেখানে গাড়ি দাঁড় করিয়ে যাত্রী তোলার কারণে কাঁটা লাগানো হয় রুটের গাড়িগুলিতে। পাল্টা অটো চালকদের সাফাই, দমদম স্টেশনের কাছে রাস্তার উপর বসছে বাজার, সেই সঙ্গে নির্মাণ সামগ্রীও দখল নিচ্ছে রাস্তার বেশিরভাগ অংশের। এর জেরেই তাঁদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাই প্রশাসনের উচিত বাজারটিকে রাস্তা থেকে তুলে ফুটপাতে নিয়ে যাওয়া এবং যত্রতত্ৰ পড়ে থাকা নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া। তাদের সেই দাবি মেনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, অটো চালকরা চাইলে গাড়ি রাখতে পারেন আর এন গুহ রোডে। পাশাপাশি, রাস্তায় যানজট কাটাতে বাজারটিকে রাস্তা থেকে দমদম রোডের ফুটপাতে সরানোর ব্যবস্থা করা হবে। রাস্তার দু’পাশে পড়ে থাকা নির্মাণ সামগ্রী নিয়েও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে পুরসভার তরফে।
