বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
গত কয়েকবছর ধরে সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী সংলগ্ন জায়গাতে নির্বিচারে ম্যানগ্রোভ গাছ কাটা হচ্ছে। সেইখানে তৈরি হচ্ছে অবৈধ ভেড়ি। নদীর লোনা জল সেই ভেড়িতে ঢুকিয়ে চিংড়ির চাষ হচ্ছে। বাসন্তীর ভরতগড়, ফুলমালঞ্চ, কাঁঠালবেড়িয়া, বাসন্তী, ঝড়খালিসহ নানা জায়গাতে অহরহ হচ্ছে। মাঝেমধ্যে সেই সব ভেড়ির দখল নিয়ে চলছে সংঘর্ষ। গত কয়েকদিন আগে ঝড়খালি থেকে কিছুটা দূরে এক গ্রামে এইভাবে ম্যানগ্রোভ কেটে ভেড়ি তৈরি নিয়ে দু’টি গোষ্ঠীর ভিতর সংঘর্ষ বাধে। বোমা ও গুলি চলে। আহত হন বেশ কয়েকজন।
এদিন ঝড়খালিতে বনমহোৎসব অনুষ্ঠান চলার সময় মন্ত্রীর কাছে বিষয়টি সরাসরি তুলে ধরেন সংসদ সদস্য প্রতিমা মণ্ডল। একইভাবে অভিযোগ করেন গোসাবার বিধায়ক জয়ন্ত নস্করও। বনমন্ত্রী তাঁদের দু’জনকে আশ্বাস দিয়েছেন, এই সব ঘটনায় অভিযুক্তদের কাউকে ছাড়া হবে না। এ ব্যাপারে কে কোন দলের সেই রাজনৈতিক পরিচয়ও দেখা হবে না। অবিলম্বে এর সঙ্গে যুক্তদের গ্রেপ্তার করতে হবে। ম্যানগ্রোভ কাটলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মন্ত্রী ঘোষণা করেন, যেখানে যেখানে বেআইনিভাবে ফিশারি তৈরি হয়েছে। সেখানে ফিশারি কেটে দিয়ে নতুন করে ওই সব জায়গাতে ম্যানগ্রোভের জঙ্গল তৈরি করা হবে।
এদিন মঞ্চে হাজির দক্ষিণ ২৪ পরগনা বন বিভাগের ডিএফও সন্তোষ জি আরকে ম্যানগ্রোভ কাটার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দেন মন্ত্রী। পরে বনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, সুন্দরবন এলাকায় ম্যানগ্রোভ কেটে ফিশারি তৈরি নতুন নয়। দীর্ঘ সময় ধরে এটা হয়ে আসছে। তিনি বলেন, বাসন্তীর ঘটনাটি বিধায়ক ও সংসদ সদস্য আমার নজরে এনেছেন। প্রশাসনকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। প্রশাসনকে এও বলা হয়েছে, এমন ঘটনায় মৎস্য ও বন দপ্তরকে নিয়ে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে। যাতে কোনও ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দপ্তর এড়িয়ে যেতে না পারে। সম্প্রতি জঙ্গলের আইন রক্ষা করতে গিয়ে রায়দিঘি, পাথরপ্রতিমার ধনচি ও কুয়োমারিতে রেঞ্জাররা আক্রান্ত হন। সেই প্রসঙ্গে ব্রাত্যবাবু বলেন, ওই সব ঘটনায় যুক্তদের কাউকে ছাড়া হবে না। সেইমতো দপ্তরের কর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন রাজ্য পর্যায়ে বনমহোৎসবের অনুষ্ঠানের সূচনা হয় ঝড়খালিতে। চারা গাছ রোপণের মধ্যে দিয়ে এর উদ্বোধন করেন বনমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে হাজির ছিলেন মাদ্রাসা দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী গিয়াসুদ্দিন মোল্লা, রাজ্যের মুখ্য বনপাল রবিকান্ত সিনহাসহ আধিকারিকরা।