বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
মেট্রো সূত্রের খবর, শনিবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটা নাগাদ পার্ক স্ট্রিট স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে সজল কাঞ্জিলাল নামের ওই যাত্রী কবি সুভাষ স্টেশনমুখী ট্রেন ধরার জন্য তিন নম্বর বগির দিকে ছুটে যান। একেবারে শেষ মুহূর্তে তিনি ট্রেনের তিন নম্বর বগির প্রথম দরজা দিয়ে ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করেন। সেই সময় তাঁর হাতটি ট্রেনের ভিতরে থাকা অবস্থায় দরজা বন্ধ হয়ে যায়। ট্রেনটি যখন টানেলে দাঁড়ায়, সেই সময়ে ট্রেনের চারটি বগি প্ল্যাটফর্ম থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। প্ল্যাটফর্মের শেষ প্রান্ত থেকে ঘটনাস্থলের দূরত্ব কমবেশি ৩০ মিটার। প্ল্যাটফর্মের যে জায়গায় ওই যাত্রী ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করেছিলেন, সেখান থেকে ঘটনাস্থলের দূরত্ব কমবেশি ১০০ মিটার। প্রশ্ন উঠেছে, ট্রেনের মধ্যে এবং বাইরে যাত্রীদের চিৎকারের পর ট্রেনটিকে দাঁড় করাতে কেন ১০০ মিটার দূরত্বের প্রয়োজন পড়ল? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই চেন্নাইয়ের নয়া এসি রেকের দ্রুত গতি বৃদ্ধির চরিত্র সামনে আসছে।
মেট্রো রেল সূত্রের খবর, মেট্রোয় চালানোর জন্য নতুন করে এখনও পর্যন্ত মোট ছ’টি এসি রেক আনা হয়েছে চেন্নাইয়ের ফ্যাক্টরি থেকে। দরজা সহ নানা ত্রুটির জেরে ট্রেনগুলিকে দীর্ঘদিন চালানো সম্ভব হয়নি। তার মধ্যে দীর্ঘ ট্রায়াল রানের পর মাত্র তিনটি রেককে এখনও পর্যন্ত চালানো হচ্ছে। মেট্রোর এক কর্তা বলেন, নতুন করে আসা এসি রেকগুলি খুব দ্রুত গতি বাড়িয়ে ছোটে। তার জন্য এই রেকগুলির ‘ইমার্জেন্সি ব্রেকিং ডিস্ট্যান্স’ও তুলনামূলকভাবে বেশি। অর্থাৎ, সাধারণ রেকে ইমার্জেন্সি ব্রেক কষার পর যতটা দ্রুত ট্রেনকে দাঁড় করানো সম্ভব, নতুন রেকগুলির ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। তার জন্যই ট্রেনটি যখন দাঁড়িয়েছে, ততক্ষণে তার চারটি কোচ প্ল্যাটফর্ম থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এনিয়ে জানতে চাওয়া হলে মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ট্রেনটি ছাড়ার পর ১২ সেকেন্ডের মধ্যে ইমার্জেন্সি ব্রেক কষে থামানো হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত করছে কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি (সিআরএস)। সিআরএসই গোটা বিষয়টি দেখবে।
প্রসঙ্গত, চলন্ত ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার তদন্তে একগুচ্ছ প্রস্তাব করেছিল সিআরএস। বলা হয়েছিল, চালক এবং সহকারী চালক ট্রেনের যাত্রীদের জন্য যে ঘোষণা করেন তা এবং ‘ইমার্জেন্সি টক ব্যাক সিস্টেম’-এর মাধ্যমে যাত্রীদের কথোপকথনও ‘রেকর্ড’ করতে হবে। ব্যবস্থাটি কার্যকর রয়েছে কি না, তা দেখার জন্য প্রতিটি ট্রিপের শেষে তার মূল্যায়ন করার কথা বলা হয়েছিল রিপোর্টে। দিনের শেষে এই সংক্রান্ত খতিয়ান জেনারেল ম্যানেজারকেও জানানোর ব্যবস্থার কথা বলেছিল সিআরএস। উঠেছিল কোচের মধ্যেই সিসিটিভি বসানোর প্রসঙ্গও। সেসব কাজ আদৌ বাস্তবায়িত হয়েছে কি না, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে শনিবারের ঘটনার পর। মেট্রোর এক আধিকারিক বলেন, আগের দফার ১৪টি এসি রেকে সিসিটিভি বসানোর প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু, নন-এসি রেকগুলিতে প্রযুক্তিগত কারণে সিসিটিভি বসানো যাবে না।