বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর জার্সি বদলের হিড়িক পড়েছিল। বিধায়ক, কাউন্সিলারা দলে দলে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছিলেন। দলবদলের জেরে কাঁচরাপাড়া, হালিশহর, ভাটপাড়া, নৈহাটি সহ বেশ কিছু পুরসভায় বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। তবে দলছুটদের ‘মোহভঙ্গ’ হয়েছে বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। গত শনিবার কাঁচরাপাড়া ও হালিশহর পুরসভার দলছুট কাউন্সিলাররা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে ফিরেছেন। তৃণমূলত্যাগী এক বিজেপি নেতা নিজের গড়ে কাউন্সিলারদের ধরে রাখতে পারলেন না বলে তোপ দেগেছেন শাসক দলের নেতারা।
সেই রকম কাঁচরাপাড়া, হালিশহরের পর এবার নৈহাটি ও ভাটপাড়াতেও প্রত্যাবর্তনের পালা আসবে বলে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি। সূত্রে জানা গিয়েছে, নৈহাটি পুরসভার মোট আসন ৩১টি। সবকটি আসনই তৃণমূলের দখলে। লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর নৈহাটি পুরসভায় ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পুরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের অফিস ভাঙচুর হয়। প্রতিদিন তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটছিল। আতঙ্কে চারদিন ঘরছাড়া ছিলেন পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায়। এরই মাঝে ১৮ জন তৃণমূল কাউন্সিলার দলবদল করে বিজেপিতে যোগ দেন। ফলে নৈহাটি পুরসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে নরেন্দ্র মোদির দল। সন্ত্রাসের আবহে পুরসভা চালাতে পারবেন না বলে চেয়ারম্যান রাজ্য সরকারের কাছে ইস্তফা দেন। পরে রাজ্য সরকার নৈহাটি পুরসভায় প্রশাসক বসায়। এ নিয়ে উচ্চ আদালতে একটি মামলাও হয়। যার রায় আজ, সোমবার হতে পারে।
তৃণমূল সূত্রের খবর, নৈহাটি পুরসভার দলছুট ১৮ জন কাউন্সিলারের মধ্যে সিংহভাগ বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে আসতে চলেছেন। ফলে নৈহাটি পুরসভাও ফের তৃণমূলের দখলে আসবে। নৈহাটি পুরসভার তৃণমূলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, লোকসভা নির্বাচনের পর যাঁরা পুরসভায় হামলা চালিয়ে ছিলেন, তাঁরা বিজেপির নয়। সিপিএমের হার্মাদরা জার্সি বদলে ওই হামলা চালিয়েছিল। গত চার বছর আমি কাউন্সিলারদের সঙ্গে নিয়ে উন্নয়ন করেছি। কোনওদিন কাউন্সিলাররা আমার বিপক্ষে যায়নি। উন্নয়নে কোথাও বাধা দেয়নি।
ভাটপাড়া পুরসভাতেও একই দৃশ্য দেখা যাবে বলে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি। ভাটপাড়া পুরসভার মোট আসন ৩৫টি। বর্তমানে ৩৩ জন কাউন্সিলারের মধ্যে ৩২টিতে ঘাসফুল প্রতীকে জেতা। একজন রয়েছেন সিপিএমের। এই ৩২ জনের মধ্যে সিংহভাগ চলে গিয়েছে বিজেপিতে। ফলে পুরসভার দখল নিয়েছে বিজেপি। তৃণমূলের ভাটপাড়া বিধানসভা কমিটির চেয়ারম্যান ধরমপাল গুপ্তা বলেন, নৈহাটির দলছুট কাউন্সিলাররা রাস্তায় চলে এসেছেন। যে কোনও দিন তাঁরা পুরনো ঘরে ঢুকে পড়বেন। আর ভাটপাড়াও আমাদের দখলে আসবে। সিংহভাগ কাউন্সিলার বিজেপি ছেড়ে পুরনো দলে ফিরছেন। কাউন্সিলারদের মনোভাব জানতে পেরেই অর্জুন সিং ভাটপাড়ায় নতুন করে অশান্তি সৃষ্টি করছেন। এটা তাঁর পুরোটাই পরিকল্পিত।