বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
এছাড়া আলিম বিশ্বাস নামের এক পাচারকারীকে হাতেনাতে পাকড়াও করতে সক্ষম হয়েছেন জওয়ানরা। সীমান্ত এলাকা থেকে ১৫৫টি গোরু বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যার বাজারদর প্রায় সাড়ে ১৩ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে, পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ পাচারের সময় এক বাংলাদেশি পাচারকারীকে বিএসএফ গ্রেপ্তার করে। সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করায় ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিককেও বিএসএফ গ্রেপ্তার করেছে।
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, আংরাইল সীমান্তে বাংলাদেশি গোরু পাচারকারীদের ছোঁড়া বোমায় বিএসএফ জওয়ান আনিসুর রহমান গুরুতর জখম হন। এই ঘটনার কড়া নিন্দা করার পাশাপাশি সীমান্তে বিএসএফের সক্রিয়তা আরও বাড়ানো হয়। এই পরিস্থিতিতে পাচারকারীরা পিছু হটার পরিবর্তে আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ। শনিবার রাতে তারালি সীমান্তে পাচারের জন্য প্রচুর পরিমাণ গোরু জড়ো করে। কিন্তু সজাগ থাকা বিএসএফ জওয়ানরা পাচারে বাধা দেন। ওইসময় আংরাইলের কায়দায় বাংলাদেশি পাচারকারী ও এই দেশের ধুর সিন্ডিকেট একসঙ্গে মিলে বিএসএফের উপর হামলা চালাতে শুরু করে। শক্তিশালী দেশি বোমা, দা, হাঁসুয়া ও হকি স্টিক নিয়ে পাচারকারীদের আক্রমণ ঠেকাতে জওয়ানরাও পাল্টা গুলি চালান।
বিএসএফ আধিকারিকদের দাবি, মোট সাত রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে। তাতেই মুস্তাফা গাজি নামে এক পাচারকারী জখম হয়। তার বাড়ি স্বরূপনগর থানার বালাতি এলাকায়। জখম ওই পাচারকারীকে বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিকেল সেখানেই তার মৃত্যু হয়। আলিম বিশ্বাস নামের এক পাচারকারীকে জওয়ানরা গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি একটি বাইক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ধৃতের বাড়ি চিতুরি এলাকায়। যদিও বাংলাদেশি পাচারকারীরা অন্ধকারের সুযোগ সীমান্তবর্তী ঘাসজমি দিয়ে চম্পট দেয়।
অন্যদিকে, শনিবার রাতে পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ ওষুধ পাচারের চেষ্টা করছিল বাংলাদেশি নাগরিক সাজু বড়ুয়া। তার বাড়ি চট্টগ্রাম থানা এলাকায়। সূত্র মারফৎ পাচারের খবর পাওয়ার পর জওয়ানরা সজাগ ছিলেন। রাতে জওয়ানরা প্রায় ২২ লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ ওষুধ সহ সাজুকে গ্রেপ্তার করেছন। এছাড়াও ওই রাতেই ভারত বাংলা সীমান্তের বেশ কয়েকটি এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশকারীরা ঢোকার চেষ্টা করে। এই ঘটনায় জওয়ানরা ১১ জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে। বিএসএফের কলকাতাস্থিত দক্ষিণবঙ্গ হেড কোয়ার্টারের তরফে জানানো হয়েছে, সীমান্তে পাচার আটকাতে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সমস্যা হচ্ছে বুঝেই পাচারকারীরা আক্রমণের রাস্তায় হাঁটছে। তাই বোমা ও অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে প্রতিনিয়ত হামলা চালানো হচ্ছে। কোথাও জওয়ানরা প্রথমে গুলি চালায়নি। আত্মরক্ষার জন্য জওয়ানরা গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছেন।