বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
নিমাই দে এক সময় এলাকায় কুখ্যাত দুষ্কৃতী বলে পরিচিত ছিল। কিন্তু, বর্তমানে সে ওই পথ থেকে সরে এসেছিল। এখন সে ব্যবসা নিয়েই চলত। এদিন ছেলেকে নিয়ে সে বাজারে যায়। তখনই কয়েকজন দুষ্কৃতী বাইকে করে এসে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। কিন্তু, ভাগ্যক্রমে সেই গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে তার গালের একটি অংশ ও নাক জখম করে বেরিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। এরপর নিমাইকে উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে সাঁতরাগাছি থানার পুলিস যায়। পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আগে থানায় অভিযোগ ছিল। বেশ কয়েকবার সে জেলেও গিয়েছিল। কিন্তু, এখন তার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ ছিল না। পুরনো শত্রুতার জেরেই এই গুলি করে খুনের চেষ্টা বলে পুলিস প্রাথমিকভাবে মনে করছে। পুলিস জানিয়েছে, দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিমাই দে এক সময় হাওড়ার শিবপুর এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী বড় খোকার টিমের হয়ে কাজ করত। কিন্তু, পরবর্তীকালে বড় খোকার সঙ্গে তার মতের অমিল হওয়ায় সে ওই টিম ছেড়ে দেয়। বড় খোকা অবশ্য এখন এলাকা ছেড়ে অন্যত্র থাকে। তারপর নিজেই বাকসাড়া এলাকায় সাম্রাজ্য বিস্তার করেছিল। কিন্তু, গত কয়েক বছর সে এই পথ থেকে সরে গিয়ে ব্যবসা শুরু করে। স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, সাম্প্রতিককালে সে বাড়ির বাইরেও খুব বেশি বের হত না। এদিন সকালে ছেলেকে নিয়ে সে বাজারে বের হয়েছিল। তখনই দুষ্কৃতীরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। কিন্তু, কী কারণে তাকে হঠাৎ করে খুনের চক্রান্ত করা হল, তা নিয়ে পুলিস ধন্দে আছে।
পুলিস মনে করছে, পুরনো কোনও শত্রুতার জেরেই তাকে খুন করার চেষ্টা করা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেরজনার সৃষ্টি হয়। লোকজনের মধ্যেও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। দিনের আলোয় ভরা বাজারে এইভাবে একজনকে খুনের চেষ্টার ঘটনায় এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। স্থানীয় লোকজনের বক্তব্য, এইভাবে রবিবারের সকালে দুষ্কৃতীরা গুলি চালিয়ে একজনকে খুনের চেষ্টা করল। এতে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? ওই গুলি তো অন্য যে কারও গায়ে লাগতে পারত! যদিও পুলিস জানিয়েছে, নিমাই দের চালচলনের উপর দুষ্কৃতীরা বেশ কিছুদিন ধরেই নজর রাখছিল। কখন সে বাড়ি থেকে বের হয়, কখন কোথায় যায়, তা তাদের স্পষ্টভাবে জানা ছিল। সেই কারণেই এদিন তাকে সরাসরি আক্রমণ করতে পেরেছিল। যদিও তাদের দুরভিসন্ধি ব্যর্থ হয়।
পুলিস জানিয়েছে, দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করতে জখম নিমাই দের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে। তার কাছ থেকেও কিছু সূত্র পাওয়া গিয়েছে। তার ভিত্তিতেই দুষ্কৃতীদের সন্ধানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। খুব শীঘ্রই দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।