বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
বোমাবাজির ঘটনা নিয়ে দুই শিবিরে তরজাও শুরু হয়ে গিয়েছে। এদিন কাঁকিনাড়ার ৫ নম্বর রেলওয়ে সাইডিংয়ে গিয়ে বিজেপির এমপি অর্জুন সিং পুলিসকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এলাকায় মজুত থাকা বোমা, পিস্তল উদ্ধার না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ডাকার চিন্তাভাবনা করছি আমরা। সোমবার দলীয় বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। নন্দীগ্রামের মতো আন্দোলন হবে। তিনি বলেন, বাংলায় এখনই ৩৫৬ ধারা জারি করে মানুষকে বাঁচাতে হবে। পুলিস জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। পুলিস পিকেট বসানো হয়েছে। নতুন করে অশান্তি ছড়ায়নি।
লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই ভাটপাড়া সংবাদের শিরোনামে। নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর থেকে দুই শিবিরের লড়াইয়ে বার বার অগ্নিগর্ভ হয়েছে জগদ্দল, কাঁকিনাড়া, ভাটপাড়া, হালিশহর, বীজপুরসহ বারাকপুর মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ কাঁকিনাড়ার চার ও পাঁচ নম্বর গলিতে মুড়িমুড়কির মতো বোমা পড়তে থাকে। দুই শিবিরের লড়াইয়ের মাঝখানে পড়ে এক মহিলা সহ চারজন জখম হন। একজন দোকানদার তড়িঘড়ি দোকান বন্ধ করার সময় তাঁর পিঠে বোমা পড়ে। এলাকায় প্রবল আতঙ্ক ছড়ায়। ব্যবসায়ীরা দোকানপাট সব বন্ধ করে দেন। এলাকা নিমেষে শুনশান হয়ে পড়ে। ঘটনার খবর পেয়ে বিশাল পুলিস বাহিনী পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। রাতের দিকে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই রবিবার ভোরে ফের বোমাবাজি হতে শুরু করে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কাঁকিনাড়ার চার ও পাঁচ নম্বর গলিতে দু’পক্ষের মধ্যে বোমাবাজি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার জগদ্দলের সুগিয়াপাড়ায় প্রভু সাউ পুলিসের গুলিতে খুন হন বলে অভিযোগ। এদিন এলাকার পরিস্থিতি দেখতে ৫ নম্বর রেলওয়ে সাইডিংয়ের দুর্গাস্থানে যান বারাকপুরের এমপি অর্জুন সিং। তিনি এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলার পর পুলিসকে সতর্ক করে দেন। তিনি বলেন, এখানেও নন্দীগ্রাম স্টাইলে রাস্তা কেটে ফেলা হবে। পুলিস এক পক্ষের হয়ে কাজ করছে। তাঁর অভিযোগ, এদিন নয়াবাজার এলাকার একটি বাড়ি থেকে ২০০টি বোমা উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু, পুলিস দেখাচ্ছে ৪০টি। পুলিস শাসকদলের দালালি করছে। যে বোমায় আহত হচ্ছে, তাকেই পুলিস গ্রেপ্তার করছে। আর বহিরাগত দুষ্কৃতীরা অবলীলায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।
তৃণমূলের ভাটপাড়া বিধানসভা কমিটির চেয়ারম্যান ধরমপাল গুপ্তা বলেন, আমার বাড়ির আশেপাশে বোমাবাজি করা হচ্ছে। শনিবার রাত থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত বোমবাজি করেছে অর্জুনের লোকজন। আর এই বোমাবাজিতে জখম হয়েছেন সাধারণ মানুষ। তৃণমূলের ভাটপাড়া বিধানসভা কমিটির আহ্বায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, যাবতীয় গণ্ডগোলের পিছনে অর্জুন সিং। আমরা চেয়েছি এখানে শান্তি আসুক। সর্বদলীয় বৈঠক হোক। কিন্তু বহিরাগতদের এনে ফের বোমাবাজি করে এলাকা উত্তপ্ত করছে। এলাকার মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত করছে। বারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের ডিসি অজয়কুমার ঠাকুর বলেন, বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। তবে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। পুলিস পিকেট বসানো হয়েছে। পাড়ায় টহলদারি চলছে।