দক্ষিণবঙ্গ

ছেলেরা থাকে বাংলাদেশে, কেতুগ্রামে চোখের জল ফেলছেন বৃদ্ধ দম্পতি

অনিমেষ মণ্ডল, কাটোয়া: বাংলাদেশে বর্তমানে অস্থির অবস্থা। মোবাইলে যোগাযোগ করতে পারছেন না অনেকেই।  কেউ কেউ আবার কাঁটাতারের কাছে এসে ভারতে ঢোকার চেষ্টা চালাচ্ছেন। অনেকের ছেলে-মেয়ে, আত্মীয়-স্বজন ওপারে রয়েছেন। খোঁজখবর ঠিকঠাক পাচ্ছেন না। উদ্বেগ বাড়ছে। পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের বাসিন্দা বৃদ্ধ দম্পতি সেই তালিকায়। ছেলেরা বাংলাদেশে থাকেন। সেখানে অশান্ত পরিস্থিতির কারণে যোগাযোগ প্রায় ছিন্ন। চোখের জল ফেলা ছাড়া এখন তাঁদের কাছে আর কোনও উপায় নেই। কিছুদিন আগে ছেলেদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছিলেন। তখন জানতে পেরেছিলেন ছেলে অসুস্থ। কিন্তু, চিকিৎসা করাতে পারছেন না। উদ্বিগ্ন হয়ে একরকম খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন অসহায়ায় বাবা ও মা।
কেতুগ্রাম-২ ব্লকের গঙ্গাটিকুরির বাসিন্দা কালীপদ রায় তাঁর স্ত্রী অমরি রায়। আগে তাঁরা কেতুগ্রামের শান্তিনগরে থাকতেন। কালীপদবাবুর বয়স ৭০ বছরের বেশি। বৃদ্ধ-বৃদ্ধা কোনওমতে চাষাবাদ করে দিন কাটান। তাঁদের তিন ছেলে এখনও থেকে গিয়েছেন বাংলাদেশে। ফোনে ছেলেদের কাছে সেখানকার অস্থির কথা শুনে দু’ জনে দিনরাত চোখে জল ফেলছেন। কি করবেন ভেবে পাচ্ছেন না। কয়েকদিন আগে মেজ ছেলে ফোন করে জানিয়েছেন, তাঁর ভাই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। চিকিৎসা করাতে যেতে পারছেন না। বাইরে বের হলেই বিপদ রয়েছে।  
কালীপদবাবু বলেন, দেশভাগের যন্ত্রণা আমার পরিবারটাকে ছাড়খার করে দিল। ১৯৭১ সালের পর তখন মা ও ভাইদের নিয়ে এপারে এসেছিলাম। কিছুদিন থাকার পর আবার ওপারের সরকার আমাদের নিয়ে গেল। বাড়ি ঘর সব লুটপাট করেছিল। তারপর আবার এপারে এসেছিলাম। কিন্তু আমার বড় ছেলে শিক্ষকতার চাকরি করেন বাংলাদেশে। বাকি দুই ছেলেও ওখানে কাজ করেন। তাই তাঁরা আর এপারে আসেনি। এখন তাঁদের কোনও খোঁজ পাচ্ছি না। খুব চিন্তায় রয়েছি। কালীপদ রায় বাংলাদেশে ফরিদপুর উপজেলার মোদোখালি থানার গাবুরদিয়া গ্রামে থাকতেন। বড় ছেলে উৎপল গ্রামের স্কুলেই শিক্ষকতার চাকরি করেন। মেজ ছেলে রিটন ও ছোট ছেলে উজ্জ্বল সেখানেই কাজ করেন। কুড়ি বছর আগে ছেলেদের উপর অভিমান করে ভারতে চিকিৎসা করাতে আসেন কালীপদবাবু। অপারেশনের পর আর বাংলাদেশে ফিরে যাননি। এখানেই তিনি জমিজমা কিনে বাস করছেন। কিন্তু ছেলেদের সঙ্গে তাঁদের ফোনে যোগাযোগ ছিল। ছেলেরাও খোঁজ খবর নিতেন বৃদ্ধ বাবা ও মায়ের। কিন্তু এখন আর কালীপদবাবু ও তাঁর স্ত্রী অমরিদেবী কোনও খবর পাচ্ছেন না ছেলেদের। 
চোখের জল মুছতে মুছতে অমরিদেবী বলেন, ছেলেদের পাসপোর্ট রয়েছে৷ ওরা এদেশে এসে চিকিৎসা করাবে বলে ঠিক করেছিল। কয়েকদিন আগে ফোনে বাংলাদেশের অস্থিরতার কথা বলল। কিন্তু বর্ডার সব সিল করে দিয়েছে। খুব চিন্তা হচ্ছে ছেলেদের নিয়ে। ওদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। আমরা কোনও খবর পাচ্ছি না। খুব অসহায় লাগছে৷ 
কালীপদবাবু জানান, ১৯৭১ সালে দেশভাগের যন্ত্রণা নিয়ে মুর্শিদাবাদের ডোমকলের লতিডাঙাতে এসে উঠেছিলাম। আবার বাপ-ঠাকুরদার ভিটেতে ফিরে গিয়েছিলাম। তারপর এদেশে এসে পাকাপাকি ভাবে বসবাস শুরু করেছি। দুই দেশে যাতায়াত করতে গিয়ে আমার সংসারটা ছাড়খার হয়ে গেল৷ - নিজস্ব চিত্র
17d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে  উন্নতি ও সাফল্যের যোগ।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.২৮ টাকা৮৬.০২ টাকা
পাউন্ড১০৪.৮৬ টাকা১০৮.৫৭ টাকা
ইউরো৮৬.৮৬ টাকা৯০.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
25th     December,   2024
দিন পঞ্জিকা