দক্ষিণবঙ্গ

বিএসএফ দরজা খুলতেই জলঙ্গির দু’চরে ভিড়, চলছে দেদার কেনাকাটা

সংবাদদাতা, ডোমকল: বিস্তীর্ণ খোলা জমি। একটু উঁচুতে উঠে তাকালেই দেখা যাচ্ছে, ওপার বাংলা দিয়ে বয়ে যাওয়া পদ্মার রূপ। আর মাঠের শেষদিকের অংশে দাঁড়িয়ে সামনে তাকালেই স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের গ্রাম, রাস্তাঘাট। এতদিন বাড়ির কাছে হলেও বিএসএফের কড়াকড়ির কারণে সেখানে যাওয়া প্রায় দুষ্কর ছিল মূল ভূখণ্ডের লোকেদের। কিন্তু দিনকয়েকের ব্যবধানে গ্রামের প্রবেশদ্বার ছেড়ে বিএসএফ সীমান্তের জিরো পয়েন্টে সরে যাওয়ায় জলঙ্গির কুষ্টিয়া ঘেঁষা দুই চরের মাটিতে বাড়ছে তাঁদের আনাগোনা। বিনা ভিসাতেই ওপারের গ্রাম, রাস্তাঘাট, পদ্মার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারায় প্রতিদিনই অনেকেই ঢুঁ মারছে জলঙ্গির উদয়নগর খণ্ড কলোনি ও চর পরাশপুরে। শুধু তাই নয়, বাড়ছে পিকনিকের ঝোঁকও। এদিকে মানুষের আনাগোনা বাড়ায় চা-ঘুগনি-পাঁপড়ের স্টল লাগাচ্ছে চরের ছেলে-ছোকরারা।
প্রসঙ্গত, উদয়নগর খণ্ড কলোনি ও চর পরাশপুরকে জলঙ্গির মূল ভূখণ্ড থেকে আলাদা করেছে বুক চিরে যাওয়া পদ্মার শাখানদী। একসময়ে ওই গ্রামগুলি পদ্মার ভাঙ্গনে প্রায় নিশ্চিন্ন হয়ে গিয়েছিল। পরে খাত বদলে পদ্মা ফের ওপার বাংলার কুষ্টিয়া দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে। পদ্মা গহ্বরে জন্ম নেয় দুই চর। ওই চরের বেশিরভাগ জমিই খাস। ধীরে ধীরে গ্রামে বসতি বাড়ে।  অনেকেই আবার উঠে চলে যান ওপারে। অনেকের অবস্থান পরিবর্তন হলেও ওই দুই চরের প্রবেশদ্বারের দখল নেয় বিএসএফ। ভৌগোলিক অবস্থান ও আন্তর্জাতিক সীমারেখায় কাঁটাতার না থাকার দোহাই দিয়ে ওই দুই চরে যাতায়াত পুরোপুরিভাবে নিয়ন্ত্রণে নেয় বিএসএফ। নির্দিষ্ট কোনও কারণ ছাড়া চরে প্রবেশের ওপর চলত মিলিটারি নিষেধাজ্ঞা। পরিচয়পত্র দেখানোর পরেও চলত বিএসএফের সাতপাঁচ প্রশ্নের জবাবদিহি। বিএসএফের কড়াকড়ির কারণে আত্মীয়দের যে দু’দিন গ্রাম ঘুরে দেখাবেন, তার সুযোগও থাকত না বাসিন্দাদের। তবে দিনকয়েক আগেই বিএসএফ গ্রামের প্রবেশদ্বার ছেড়ে জিরো পয়েন্টে চলে যাওয়ায় এখন সে সব অতীত। আর তাঁদের যাতায়াত কিংবা মানুষের আনাগোনায় থাকছে না কোনও বাঁধা শৃঙ্খল। এতে চরের মাটিতে আত্মীয়স্বজনদের আনাগোনা যেমন বেড়েছে, তেমনই বেড়েছে মূল ভূখণ্ডের মানুষের আনাগোনা। অনেকেই কয়েক ঘণ্টা সময় কাটানোর জন্য চরে ঘুরতে আসছেন। ঘুরে দেখেছেন এতদিনের না দেখা চর। সঙ্গে  ভারতীয় জমি থেকেই ওপারের গ্রামের বসতি, পদ্মার সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। কেউ কেউ পিকনিক করতেও আসছেন। মূল ভূখণ্ডের মানুষের এভাবে আনাগোনা বাড়ায় চরের কেউ কেউ চা-ঘুগনি-মুড়ির স্টল লাগিয়ে বসে পড়েছেন। এই যেমন চর পরাশপুরের সুরজ শেখ। বাড়ির সামনেই চপ-ঘুগনি-পাঁপড়ের স্টল লাগিয়ে বসেছেন তিনি। বলেন, বিএসএফ জিরো পয়েন্টে চলে যাওয়ায় গ্রামে সাধারণ মানুষের আনাগোনা বাড়ছে। প্রতিদিনই এখন অনেকেই আশপাশের গ্রামগুলি থেকে চরে আসছেন। আজ প্রায় এক সপ্তাহ হল আমি স্টল খুলে বসেছি। ভালোই বিক্রি হচ্ছে।
জলঙ্গির ঘোষপাড়ার ইমদাদুল মণ্ডল বলেন, বাড়ির এত কাছে চর হলেও এভাবে কোনওদিন আসার সুযোগ হয়নি। এবারে বিএসএফ না থাকায় ঘুরতে গিয়েছিলাম। সীমান্তের কাছে চাষের জমি থেকেই বাংলাদেশের গ্রাম স্পষ্টভাবে দেখলাম। বেশ ভালো লাগল।
20d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে  উন্নতি ও সাফল্যের যোগ।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.২৮ টাকা৮৬.০২ টাকা
পাউন্ড১০৪.৮৬ টাকা১০৮.৫৭ টাকা
ইউরো৮৬.৮৬ টাকা৯০.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
25th     December,   2024
দিন পঞ্জিকা