উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
অল্প জল দিয়ে কোকো ডাস্ট ভিজিয়ে নিতে হবে, যাতে বাতাসে উড়ে না যায়। এর পর ১ ফুট লম্বা ১০০টি পটলের ডগা কেটে, ওই ডগাগুলি ৫ গ্রাম মাত্রায় প্রতি লিটার জলে ট্রাইকোডার্মা ভিরিডি দিয়ে দ্রবণ তৈরি করে তাতে ৫ মিনিট ডুবিয়ে রেখে শোধন করে নিতে হবে। এর পর শোধন করা ডগা থেকে চারা তৈরি করার কাজ। ডগাগুলি এক জায়গায় এনে ভিজে বস্তায় তিনি মুড়ে রাখেন। তার পর ওই ভিজে বস্তা সমেত ডগাগুলি কোকো ডাস্টের চৌবাচ্চায় গর্ত করে মাঝখানে রেখে আরও কোকো ডাস্ট দিয়ে ঢেকে রাখেন। দু’দিন পর দেখা যায়, ৫০টি ডগায় কল বেরিয়েছে। আরও দু’দিন পর দেখা যায়, বাকি ডগাগুলির মধ্যে ৩০টি ডগায় কল বেরিয়েছে। আরও দু’দিন পর দেখা যায়, বাকি ২০টি ডগাতেও কল বেরিয়েছে। যেমন যেমন কল বেরিয়েছে, তেমনভাবে প্লাস্টিক গ্লাসে কোকোপিট তৈরি করে পটলের ডগাগুলিকে পুঁতে দেন।
ডগা বসানোর পর কোকোপিটে সামান্য জল স্প্রে করতে হবে। এভাবে সাতদিনেই বীজতলা তৈরি হয়ে যাবে। কৃষক জাহিরুল মণ্ডল, প্রবীর দে জানিয়েছেন, তাঁরা তরল জৈবসার তৈরি করছেন। চারা তৈরি হয়ে যাওয়ার পর দেড় ফুট অন্তর রোপণ করা হচ্ছে। চাপান সার হিসেবে তাঁরা তরল জৈব সার ব্যবহার করছেন। চাকদহ ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা স্বপনকুমার সিংহ জানিয়েছেন, বেশকিছু চাষি মিলিতভাবে তরল জৈবসার তৈরি করছেন। সেইসঙ্গে তাঁরা জৈবসারও তৈরি করছেন। গোবরসার, হাড়ের গুড়ো, নিম খোল, সর্ষের খোল, শাঁখের গুড়ো দিয়ে জৈবসার তৈরি করা হচ্ছে। জমির ভাটি প্লাস্টিক দিয়ে মুড়ে দেওয়ার ফলে দু’টি সুবিধা হচ্ছে। বৃষ্টিতে ভাটি ধুয়ে যাবে না। গরমে প্লাস্টিকের ভিতরে ঠান্ডা থাকছে। ফলে বীজতলা তাড়াতাড়ি চারাগাছে পরিণত হয়ে যাবে।