শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
চলতি আইপিএলে স্পিনের বিরুদ্ধে পাঞ্জাবের দুর্বলতা বারবার প্রকট হয়েছে। গত ম্যাচেই তো গুজরাতের সাই কিশোর, নুর আহমেদ, রশিদ খানরা তুর্কি নাচন নাচিয়েছেন স্যাম কারান, জিতেশ শর্মাদের। প্রীতি জিন্টার দলে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার বেশি। কারান, বেয়ারস্টো, লিভিংস্টোনরা স্পিনের বিরুদ্ধে মোটেই সাবলীল নন। তার উপর চোট না সারায় এই ম্যাচেও খেলতে পারবেন না অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান। তাই প্রতিপক্ষের দুর্বল জায়াগাতেই আঘাত হানতে চায় নাইট-ব্রিগেড। কেকেআরের দুই স্পিনার সুনীল নারিন ও বরুণ চক্রবর্তী যেকোনও ব্যাটিং লাইন আপে ফাটল ধরাতে সক্ষম। পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত সাত ম্যাচে বরুণ ও নারিনের মোট শিকার ১৭টি। প্রয়োজন পড়লে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে সুয়াশ শর্মাকেও খেলানো হতে পারে। তবে কেকেআরের পেস বিভাগ নিয়ে কিছুটা চিন্তিত ম্যানেজমেন্ট। বিশেষ করে আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার মিচেল স্টার্কের অফ ফর্ম ক্রমশ মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠছে। ২৪.৭৫ কোটির বাঁহাতি পেসার সাত ম্যাচে মাত্র ৬টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। ওভার প্রতি বিলিয়েছেন ১১ রানেরও বেশি। ম্যাচের আগের দু’দিন অনুশীলনে হাতই ঘোরালেন না অজি তারকা। অথচ কেকেআর শিবিরের তরফে চোটের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাহলে সমস্যা কোথায়? বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, তাঁর সমস্যাটা মানসিক। তাই পাঞ্জাব ম্যাচের আগে ওয়ার্কলোড কমানোর জন্য প্র্যাকটিস থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে স্টার্ককে। হর্ষিত রানা, বৈভব আরোরারা অবশ্য ছন্দে আছেন। প্রয়োজন পড়লে বেঞ্চের চেতন সাকারিয়া বা দুষ্মন্ত চামিরাকে সুযোগ দেওয়া হতে পারে।
কেকেআরের ব্যাটিংকে অবশ্য বেশ শক্তিশালীই দেখাচ্ছে। এর জন্য গম্ভীরকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। চলতি মরশুমে ওপেনিংয়ে নারিনকে ফিরিয়ে চমক দিয়েছেন তিনি। ৭ ম্যাচে কেকেআরে সর্বাধিক ২৮৬ রান এসেছে ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারের ব্যাট থেকেই। রয়েছে একটি শতরানও। অপর ওপেনার ফিল সল্টও ছন্দে আছেন। পাশাপাশি গত ম্যাচে অর্ধশতরান হাঁকিয়ে ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন ক্যাপ্টেন শ্রেয়স। আর ইডেনের স্পোর্টিং উইকেটে মিডল ওর্ডারে ঝড় তোলার জন্য আন্দ্রে রাসেল, রিঙ্কু সিং তো আছেনই। সেই সঙ্গে সাত ম্যাচের পাঁচটিতে জিতে আত্মবিশ্বাসে ফুটছে নাইট-ব্রিগেড। তাছাড়া, হেড টু হেডেও তারা এগিয়ে। পরিসংখ্যান বলছে, মোট ৩২ ম্যাচের মধ্যে কেকেআর ২১টি ও পাঞ্জাব ১১টিতে জিতেছে।
পক্ষান্তরে, আট ম্যাচের ছয়টিতে হেরে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে পাঞ্জাবের। শুক্রবার যেকোনও মূল্যে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া তারা। তবে স্টপ গ্যাপ অধিনায়ক স্যাম কারানের হঠাৎ ফর্ম হারানো কাজ কঠিন করেছে তাদের। বেয়ারস্টো, লিভিংস্টোনও দাগ কাটতে ব্যর্থ। চাপের মুখে শশাঙ্ক সিং ও আশুতোষ শর্মাই হাল ধরছেন মিডল অর্ডারে। তবে কাগিসো রাবাডা, অর্শদীপ সিংদের উপস্থিতিতে পেস বিভাগ বেশ শক্তিশালী। তবে ইডেনে নাইটদের বিরুদ্ধে অগ্নিপরীক্ষার মুখে পড়তে হবে তাঁদের।