শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
ক’দিন আগেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে বার্সার। এরপর সমর্থকরা বুক বেঁধেছিলেন লা লিগা খেতাবের আশায়। শীর্ষে থাকা রিয়ালকে হারাতে পারলে লড়াইয়ের সুযোগ থাকত জাভি-ব্রিগেডের। কিন্তু ভিনিসিয়াস জুনিয়র, জুড বেলিংহ্যামদের টেক্কা দিতে ব্যর্থ লিওয়ানডস্কিরা। চলতি মরশুমে এখনও পর্যন্ত তিনটি এল ক্লাসিকোতেই আধিপত্য জারি থাকল রিয়ালের। অথচ মহাম্যাচের শুরুতে দাপট ছিল বার্সেলোনার। ষষ্ঠ মিনিটেই লিড নেয় কাতালন ক্লাবটি। কর্নার থেকে রাফিনহার বাড়ানো বলে হেডে জাল কাঁপান ক্রিস্টেনসেন (১-০)। এই লিড অবশ্য বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি জাভির দল। ১৭ মিনিটে লুকাস ভাসকুয়েজকে বক্সে ফাউল করে পেনাল্টি উপহার দেন কুবারসি। স্পটকিক থেকে লক্ষ্যভেদে দলকে সমতায় ফেরান ভিনিসিয়াস জুনিয়র (১-১)। তবে প্রথমার্ধের সংযোজিত সময়ে বড় ধাক্কা খায় বার্সেলোনা। গুরতর চোট পেয়ে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন ফ্র্যাঙ্কি ডে জং। তাঁর পরিবর্তে মাঠে নামেন পেড্রি। আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়াতে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ডিফেন্ডার ক্রিস্টেনসেনকে তুলে তরুণ মিডিও ফারমিন লোপেজকে মাঠে নামা কোচ জাভি। ফলও মেলে হাতেনাতে। ৬৯ মিনিটে বার্সাকে ফের এগিয়ে দেন ফারমিন (২-১)। কিন্তু রিয়ালও ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়। চার মিনিটের মধ্যেই ভিনিসিয়াসের ডিফেন্স চেরা পাস থেকে লক্ষ্যভেদে দলকে সমতায় ফেরান ভাসকুয়েজ (২-২)। এই পর্বে আক্রমণ এবং প্রতি-আক্রমণে খেলা জমে ওঠে। সংযোজিত সময়ে অ্যাওয়ে গ্যালারিকে স্তব্ধ করে রিয়ালের জয়সূচক গোল বেলিংহ্যামের (৩-২)। তবে এদিন রেফারির একটি সিদ্ধান্তকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ২৮ মিনিটে রাফিনহার ক্রসে লামিনের বুদ্ধিদীপ্ত ফ্লিক গোললাইনে সেভ করেন রিয়াল গোলরক্ষক লুনিন। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছিল, বল গোললাইন পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু লা লিগায় গোললাইন প্রযুক্তির ব্যবহার নেই। ভিএআরের সিদ্ধান্ত শেষ পর্যন্ত রিয়ালের পক্ষেই গিয়েছে। ম্যাচের পর এই বিষয়ে ক্ষোভ উগরে বার্সা কোচ জাভি বলেন, ‘রেফারির ভুল সিদ্ধান্তের জেরেই ম্যাচ হারলাম। আমাদের সঙ্গে অন্যায় হয়েছে।’
ছবি: গোলের পর ভাসকুয়েজ ও বেলিংহ্যাম।
রিয়াল মাদ্রিদ-৩ (ভিনিসিয়াস, ভাসকুয়েজ, বেলিংহ্যাম)বার্সেলোনা-২ (ক্রিস্টেনসেন, ফারমিন)